জাতীয়

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে চলছে বিএমডিসি

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে চলছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর কার্যক্রম। এক বছরের বেশী সময় উত্তীর্ণ হয়েছে সর্বশেষ নির্বাচিত ২২ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদকাল। বিএমডিসি অ্যাক্ট অনুসারে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিধান থাকলেও এক বছরের অধিক সময়েও নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। প্রচলিত বিএমডিসি অ্যাক্ট এর বিধিবিধান অনুসারে বছরে দুইবার নির্বাহী কমিটির (ইসি) সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় একবারও সভা করতে পারেনি। সর্বশেষ নিবার্হী কমিটির বৈঠক গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিভিন্ন সাব কমিটির মাধ্যমে বর্তমানে জোড়াতালি দিয়ে কার্যক্রম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে বিএমডিসি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নাম চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু কাউন্সিলরদের নাম চূড়ান্ত করে পাঠালেই নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতে পারে। কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত বিএমডিসি নির্বাচনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালালেও মন্ত্রণালয়ের ঢিলেমির কারনে নির্বাচনের আয়োজন চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। বিএমডিসি দেশের চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও চিকিৎসকদের অর্জিত ডিগ্রীর স্বীকৃতি প্রদানকারি স্বায়ত্বশাসিত একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে বিএমডিসি গঠিত হয়।বিএমডিসির বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে এমবিবিএস ও ডেন্টাল কোর্সের কারিকুলাম তৈরি ও হালনাগাদ করা, পাশ করা চিকিৎসকদের স্থায়ী ও সাময়িক রেজিষ্ট্রেশন প্রদান, বিভিন্ন চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে স্বীকৃতি প্রদান ও  চিকিৎসকদের নৈতিক স্থলন হলে শাস্তি প্রদানের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।   বিএমডিসিতে কাউন্সিলরের সংখ্যা ৬৫। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়, সাংসদ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএসএমএমইউ’র প্রতিনিধি, বিভাগীয় প্রতিনিধি, বেসরকারি মেডিকেল-ডেন্টাল, বিএমএ নেতা, বিপিএমপিএ, অ্যাটর্নি জেনারেল, বিশেষায়িত হাসপতাল, ড্রাগ ও সংরক্ষিত মহিলাদের প্রতিনিধি রয়েছেন। ৬৫ সদস্যের কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে ২২ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। কাউন্সিলের ভোটে নির্বাচিত সভাপতিই বিএমডিসির প্রধান।এছাড়া একজন রেজিষ্ট্রার প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিবার্হী কমিটির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন। বিভিন্ন কমিটি যেমন ইসি, স্থায়ী স্বীকৃতি প্রদান, শৃংখলা, জার্নাল ও ভবিষ্যত সঞ্চয় তহবিল পরিচালনার মাধ্যমে সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিএমডিসির রেজিষ্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, খুব শিগগিরই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। ইতিমধ্যেই ৬৫ জন কাউন্সিলর নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম শেষ করেছে। তিনি জানান, কমিটি না থাকায় বড় ধরনের কোন সমস্যা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রের বিধি বিধানে বলা রয়েছে কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও বিভিন্ন সাব কমিটি পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তবে বিগত কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় তারা সাধারন সভা ডাকতে পারবেন না। জানা গেছে সাব কমিটি রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বড় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না। নির্বাহী কমিটিতে গৃহিত সকল সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম বার্ষিক সাধারন সভায় আলোচনা পর্যালোচনার পর অনুমোদন করিয়ে নেয়ার বিধান রয়েছে। এআরএস/এমএস

Advertisement