দেশজুড়ে

ত্রাণের জন্য রোহিঙ্গার ছদ্মবেশ!

মিয়ানমারে মুসলিম বিদ্বেষী সেনাবাহিনীর জ্বালানো অশান্তির আগুন এখনও জ্বলছে। প্রতিদিনই নতুন করে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে সামরিক জান্তারা। তাদের হাত থেকে বাঁচতে ঝুঁকি নিয়ে রাতের আঁধারে নাফ নদী পার হয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ঢুকছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ্পরীর দ্বীপে।

Advertisement

রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষদের উপর মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের অমানবিক জুলুম-নির্যাতন নাড়া দিয়েছে গোটা বিশ্ব মানবতাকে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে।

অবশ্য এ মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের নগদ অর্থই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ত্রাণের জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থীর ছদ্মবেশ ধারণ করে তাদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন স্থানীয় কিছু বাংলাদেশি। তারা ঘিরে ধরছেন ত্রাণ সামগ্রী বা নগদ অর্থ বিতরণে আসা ব্যক্তিদের।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফের শাহ্পরীর দ্বীপে এমন চিত্রই লক্ষ্য করা গেছে।

Advertisement

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা থেকে রোহিঙ্গাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণে আসা এক বক্তি বলেন, শাহ্পরীর দ্বীপ এলাকায় ঢুকে দুই-তিনজন রোহিঙ্গাকে টাকা দিতেই বাংলাদেশি কিছু শিশু-কিশোর ও যুবক এসে হাত পাতে। টাকা দেয়ার পর বুঝতে পেরেছি তারা আসলে রোহিঙ্গা না।

সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই রোহিঙ্গাদের ভাষাও রপ্ত করে ফেলেছেন। এর ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন খোদ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকারীরাও।

নিজেদের সবকিছু নাফ নদীর ওপারে ফেলে রেখে এপারে এসে মানবেতর দিন কাটছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। নদী পেরিয়ে কোনো রকমে শাহ্পরীর দ্বীপে আসতে পারলেও টাকার অভাবে অনেকেই উখিয়ায় শরণার্থী ক্যাম্পে যেতে পারছেন না। কেউ কেউ আবার কোথায় যাবেন সেটিও জানেন না।

আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/এমএস

Advertisement