মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ নিয়ে আসা কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার। তবে নিরাপত্তা সঙ্কটের কারণে সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় প্রবেশাধিকার সীমিত রাখা হয়েছে বলে শুক্রবার জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। অল্প কিছু স্থানে গাদাগাদি করে থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও স্যানিটেশন সুবিধা না থাকায় রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে মিয়ানমারকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন প্রণেতারা। রাখাইনে মানবাধিকারের চরম সঙ্কটের কথা বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তারা।
স্যাটেলাইটে তোলা ছবি প্রকাশ করা হয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ছকে রাখাইনে গত তিন সপ্তাহ ধরে গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িঢে ফেলা হয়েছে। একশ ৭৬ টি গ্রামে কোনো জনমানব নেই।
Advertisement
এআরএসএ এক মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে সহায়তার জন্য। তবে মিয়ানমার সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের দাবি, তারা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো ধরণের আলাপ করবে না।
যদিও মিয়ানমার সরকার বলছে, ত্রাণ পাঠাতে কোনো রকম বাধা দেয়া হচ্ছে। কাউকে বাধা না দেয়ার কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাউ হাতে। তিনি আরও জানান, কোনো সংগঠনকে ওইসব এলাকায় ত্রাণ পাঠাতে বাধা দেয়া হচ্ছে না। তবে নিরাপত্তার কারণে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে প্রবেশ সীমিত রেখেছে। ফলে ওই এলাকাগুলোতে প্রবেশ করা একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।
ত্রাণ কর্মীদের প্রবেশ করতে না দিয়ে উল্টো মিয়ানমার সরকারের অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের খাবার সরবরাহ করছে কয়েকটি ত্রাণ সংস্থা। রাখাইনে নিজেদের ক্লিনিক পুড়িয়ে দেয়ার খবর দিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা মিতস সঁ ফ্রঁতিয়ে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : রয়টার্স
Advertisement
কেএ/আইআই