গবেষকরা বলেছেন, চাষে জৈবপ্রযুক্তি প্রবর্তনের ফলে মসূর, ছোলা ও মুগ এই তিন প্রকারের ডালকে উৎপাদনের ক্ষতি থেকে ৬০ শতাংশ রক্ষা করা যাবে। গবেষণার ফলাফলের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা জানান, মসূর, ছোলা এবং মুগ এই তিন প্রকারের ডালের মধ্যে রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতার জিন চালু হওয়ার পর তারা ছত্রাক, ভাইরাসের মত রোগ ও কীট-প্রতঙ্গ প্রতিরোধী হয়ে গেছে।
Advertisement
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ মিলনায়তনে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার’র (ইউএসডিএ) অর্থায়নে গবেষণা প্রকল্প ‘ইমপ্রুভমেন্ট অফ গ্রেইন লিগমাস থ্রো ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় গবেষকরা একথা বলেন।
Advertisement
শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন। তিনি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, বিপন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদ রক্ষা করার জন্য একটি বড় গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করতে শিক্ষক এবং গবেষকদের প্রতি আহ্বান।
কর্মশালার তিনি বলেন, গবেষণার উদ্যোগ নেয়ার লোকের অভাব আছে। আপনি যদি বিপন্ন প্রাণি ও উদ্ভিদ রক্ষা বিষয়ক গবেষণার মত প্রকল্পগুলোর সঙ্গে আসেন তাহলে আমি অর্থ যোগানের ব্যবস্থা করবো। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। এতে অধ্যাপক ড. এম. ইমদাদুল হক ও অধ্যাপক ড. রেখা হরি সরকার অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
Advertisement
কর্মশালায় তিনজন পিএইচডি’র শিক্ষার্থী তাদের তিনটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে সুব্রত কুমার- মসূর ডাল, সুজয় কুমার বাজন- মুগ ডাল ও মো. হযরত আলী ছোলার ডালের উপর তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এসএইচএস