বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে চীনকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। চীন সফরকালে শুক্রবার সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইয়ানচাও’য়ের সঙ্গে সাক্ষাতে স্পিকার এ আহ্বান জানান।
Advertisement
জ্বালানি খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে চীন বাংলাদেশের শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও স্পিকার উল্লেখ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও দু’দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় উভয় নেতা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার আরো বলেন, চীন বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে সবসময় সহায়তা করেছে। ভবিষ্যতেও এ বন্ধুপ্রতীম দেশটি বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইয়ানচাও বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। তিনি সকল প্রকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের অব্যাহত সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, চীন শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন সেক্টরে সহায়তা প্রদান করে চলেছে। ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
স্পিকার এর আগে চীনের ইউনান প্রভিনশিয়াল কমিটির পার্টি সেক্রেটারি লি জিহেং-এর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
চীনের ইউনান প্রভিনশিয়াল কমিটির পার্টি সেক্রেটারি লি জিহেং বলেন, বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ নানা ধরণের সফল নীতিমালা গ্রহণ করেছে। চীনও বাংলাদেশের এ সকল নীতিমালার ভূয়সী প্রশংসা করে।
Advertisement
আরএস