মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৪০ শতাংশ গ্রামই এখন মানুষ শূন্য। দেশটির সরকারের দাবি, রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে; এমন তথ্য পরিবারগুলোকে জানানোর পর তারা গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে।
Advertisement
জাতিসংঘ বলছে, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর অন্তত ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে; এদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু। রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার এ হার প্রত্যেক দিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার।
রোহিঙ্গারা বলছেন, সেখানে ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের নামে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। এছাড়া অনেককেই ধরে নিয়ে যাওয়া হলেও তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র জ্য তে বলেন, লোকজনের ঘর-বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, যেসব পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত; সেই সদস্যরাই তাদেরকে বাড়ি-ঘর ছাড়তে বলেছিলেন।
Advertisement
মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনএন’কে ই-মেইলে জ্য তে বলেন, গ্রাম ছেড়ে যাওয়া মানুষদের অনেকেই সরাসরি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল এবং কেউ কেউ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সমর্থক ছিল।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ থাকায় অনেকেই পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে গেছেন। মিয়ানমার সরকার বলছে, রোহিঙ্গাদের ৪৭১টি গ্রামের মধ্যে ১৭৬টি অথবা ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ গ্রাম এখন জনমানব শূন্য। এছাড়া ৩৪টি গ্রামে অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ অাছে।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার।
এদিকে সেনা অভিযানে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা। তারা বলছেন, রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গারা।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম