শেরপুরের সোমেশ্বরি নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রবল তোড়ে ঝিনাইগাতী-ভটপুর সড়ক বিলভরট উচ্চ বিদ্যালয়ের সন্নিকটে প্রায় ৫০ ফুট ভেঙে গেছে। এতে ওই সড়কে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।এলজিইডির এ পাকা সড়ক ভেঙে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে আশপাশের ছয় গ্রামের শত শত মানুষ।বিলভরট গ্রামের বাসিন্দা তাঁতিহাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হালিম জানান, গত দুইদিন উজানে ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরি নদীতে পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়। শুক্রবার ভোরে পাহাড়ি ঢলের স্রোতের তোড়ে ঝিনাইগাতী-ভটপুর সড়কের এলজিইডির পাকা রাস্তার প্রায় ৫০ ফুট ভেঙে গেলে আশপাশের গ্রামগুলোর নিম্নাঞ্চল ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়। এতে ওই সড়কে যাতায়াত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী থেকে ধানশাইল হয়ে ভটপুর সড়কটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা তাকে জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।এদিকে, মহারশি নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে রামেরকুড়া, দিঘীর পাড় পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়া এবং বনগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এলাকায় বাঁধ ভেঙে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য পুকুর, সব্জি বাগান ও কৃষকদের বীজতলা। অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পরার পাশাপাশি ওইসব এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত এলাকার অনেক স্থানেই রাস্তা-ঘাট ভেঙে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবু জানিয়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড শেরপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ হোসেন জানান, শুক্রবার ঝিনাইগাতীর রামের কুড়া এলাকায় মহারশি নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সেখানে প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। এ বিষয়ে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
Advertisement
হাকিম বাবুল/এমএএস