দেশজুড়ে

স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রলীগ নেতা

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় মো. সেলিম মিয়া ওরফে শেখ সোয়েব (২৬) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারী। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই নারী এ অভিযোগ করেন।

Advertisement

অভিযুক্ত শেখ সোয়েব উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।

খাদিজা আক্তার সাবিনা নামে ওই নারী জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তিনি বাদী মো. সেলিম মিয়াকে প্রধান আসামি করে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামি হলেন- দেলদুয়ার উপজেলার চালাআটিয়া গ্রামের মো. রিয়াজ ওরফে শেখ শিপন। ছাত্রলীগ নেতা শোয়েবের বাড়িও একই গ্রামে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৬ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আশেকপুর এলাকায় তার সঙ্গে দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া মাজার প্রাঙ্গণে একটি মেলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সোয়েবের পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ায় বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল শেখ সোয়েব। কিন্তু এতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর সোয়েব ও তার এক সহযোগী শিপন তাকে আশেকপুর গোডাউন ব্রিজ সংলগ্ন বাসায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তিনি ডাক-চিৎকার শুরু করলে তার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে সোয়েব ধর্ষণ করে। আর এই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র শিপন তার মোবাইলে ধারণ করে। পরে তারা চলে যাওয়ার সময় ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এ শর্ত না মানলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় তারা।

Advertisement

খাদিজা আক্তার সাবিনা আরও জানান, এ ঘটনায় টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

তবে আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সেলিম মিয়া ওরফে শেখ সোয়েব ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এটি একটি ষড়যন্ত্র।

আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/জেআইএম

Advertisement