চিনির বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি পূরণে ৫০ হাজার মেট্টিক টন চিনি আমদানি করছে সরকার। ৪৭০ মার্কিন ডলারে প্রতি মেট্টিক টন হিসেবে এ চিনি সরবরাহ করবে লন্ডন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইডিএএফ ম্যান সুগার এবং বাংলাদেশের রিয়া ইন্টারন্যাশনাল। ৫০ হাজার টন চিনি আমদানিতে সরকারের মোট খরচ হবে ২১১ কোটি ৩২ লাখ।
Advertisement
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি পূরণের কথা বলে সরকার এর আগে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে (বিএসএফআইসি) ১ লাখ টন চিনি আমদানির অনুমতি দেয়। ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য বিএসএফআইসি যে সারসংক্ষেপ পাঠায়, তাতে বলা হয় ৫০ হাজার টন চিনি আমদানির আন্তর্জাতিক দরপত্রে মোট চারটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে রিয়া ইন্টারন্যাশনাল, ইউনাইটেড সুগার মিলস, সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং গ্লোবোপিউ ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট লিমিটেড।
বিএসএফআইসির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির বিবেচনায় চার প্রতিষ্ঠানই যোগ্য বা রেসপনসিভ দরদাতা হয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা রিয়া ইন্টারন্যাশনাল। খরচ বাদে প্রতিষ্ঠানটি দর দিয়েছে প্রতি টন ৪৭০ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮২ টাকা ধরে প্রতি টনের দাম দাঁড়ায় ৩৮ হাজার ৫৪০ টাকা। ৫৫ হাজার টন চিনি আমদানিতে প্রতিষ্ঠানটি অন্য দরদাতাদের চেয়ে ২৭ কোটি টাকা কম দর প্রস্তাব জমা দিয়েছে। দরপত্রের চর্চা অনুযায়ী ৫০ হাজার টনের সঙ্গে ১০ শতাংশ কম-বেশি হতে পারে। যদি ১০ শতাংশ বেশি হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত চিনি আমদানি হতে পারে ৫৫ হাজার টন।
Advertisement
এমইউএইচ/ওআর/এমএস