খেলাধুলা

ওয়ান ডাউনেই উন্নতির চেষ্টা ইমরুলের

০,২,৪,১৫ এই সংখ্যাগুলো ইমরুল কায়েসের শেষ চার ইনিংসের রান। যোগ করলে চার ইনিংসে রান দাঁড়ায় ২১। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চারটি ইনিংসেই কিছু বুঝে ওঠার আগে অপ্রস্তুত হয়ে আউট হয়েছেন। চারবারের তিনবারই আউট হয়েছে স্পিনার নাথান লিওনের বলে। একবার পুরোপুরি বোকা হয়েছেন পেসার কামিন্সের বলে।

Advertisement

এমন বাজে ব্যাটিংয়ের পরও এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দলে রয়েছেন ইমরুল কায়েস। তবে আগে থেকে ইমরুল জানিয়েছিলেন, ওপেনিং থেকে তিনে খেলতে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে থাকেন তিনি। তার এ কথা ধোপে টেকেনি শেষ পর্যন্ত।

তবে আজ (বুধবার) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন সম্পূর্ণ উল্টো কথা। তিন নাম্বারেই থিতু হতে কাজ করছেন তিনি।

তিন নম্বরে গড় কম থাকলেও সেঞ্চুরি আছে ইমরুলের। তবে দিন দিন ভাল করার জন্য চেষ্টা করছেন এই টাইগার ব্যাটসম্যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'দেখুন, একসময় ওপেন করেছি, সফলতাও পেয়েছি। এখন ওয়ান ডাউন করছি, ওয়ান ডাউনেও সেঞ্চুরি করেছি। এমন না যে ওয়ান ডাউনে খেলতে পারি না। হয়তো বা আমার গড় ওয়ান ডাউনে কম। তবে আমি উন্নতির চেষ্টা করছি। যাতে দিন দিন আরও ভাল কিছু করতে পারি।'

Advertisement

তবে খেলোয়াড় হিসেবে দলের প্রয়োজনে যে কোন জায়গায় খেলার পক্ষে তিনি। তার মতে, 'একটা খেলোয়াড়ের খেলতে হবে, যেখানে সুযোগ দেয়া হবে সেখানেই। একজন খেলোয়াড় হিসেবে এ ধরনের অজুহাত না দেয়াই ভাল।'

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সবার জন্যই চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন ইমরল। এ নিয়ে তিনি বলেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সবার জন্যই চ্যালেঞ্জিং, শুধু আমার জন্য না। যে কোন দেশের খেলোয়াড়ের জন্যই। সবাই জানে যে ওখানে কঠিন কন্ডিশন। তবুও চেষ্টা করবো ভাল খেলতে, নিজেকে মানিয়ে নিতে।'

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ভাল করতে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভাল কিছু করতে চান ইমরুল। তিনি বলেন, ' প্রত্যেকটা সিরিজেই তো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকে ভাল পারফর্ম করা। রান করা। নিজে রান করলে, দল ভাল অবস্থায় থাকে। শেষ সিরিজে ভাল করতে পারি নাই, এটা অবশ্যই খারাপ লাগে। '

২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাতে অভিষেক হওয়া ইমরুল মনে করেন খুব একটা কঠিন হবে না। তার মতে, ' আমি যখন খেলেছি ২০০৮ সালে। আমার অভিষেক হয়েছিল টেস্টে। আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে নতুন ছিলাম। ওত কিছু বুঝতে পারি নাই কারণ তখন অভিষেক হয়েছিল। আমার জন্য অনেক কঠিন সিরিজ ছিল। ওখানে একাডেমিও খেলেছি, এ টিমেও খেলেছি। তবে খেলা যাবে, ওতটা কঠিন না। খেলতে না পারার মত কিছু না।'

Advertisement

এমএএন/এমআর/জেআইএম