উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষাকালের শুরুতে শুক্রবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়ে ( বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার) বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। বৃহস্পতিবার বিকালে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোন সময় তিস্তার পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এদিকে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে।তিস্তাপাড়ের ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর চরের নৌকার মাঝি আবুল কালাম (৪০) জানান, এখন চলছে জৈষ্ঠ্য মাস। বর্ষাকাল অর্থাৎ আষাঢ় মাস আসতে এখনও ১২ দিন বাকী রয়েছে। তার আগেই তিস্তা নদীতে বান ডাকতে শুরু করেছে। মফিজার রহমানসহ তিস্তা অববাহিকায় বসবাসরত মানুষজন জানান, এবার হয়তো বর্ষার আগেই তিস্তা নদীতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। যার আলামত বর্ষাকালের আগেই দেখা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে দেখা যায়, উজান থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশের প্রবেশপথ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে স্রোত ধারায় হু-হু করে পানি বাংলাদেশে সীমানার তিস্তা নদীতে ধেয়ে আসছে, যা দ্রুত প্রবাহে চলে যাচ্ছে ভাটির দিকে। গত কয়েক দিন আগেও নদীর বুকে যে ধূ-ধূ বালুচর দেখা যায় তা যেন নিমিষেই নদীর পানিতে চাপা পড়ে যাচ্ছে। নদীর কূলকিনারা ভরে উঠছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণকেন্দ্র সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর পানি ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার (৫২ দশমিক ৪০) ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সূত্র মতে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হু-হু করে ঢল নেমে আসছে। শুক্রবার ডালিয়া পয়েন্টে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ মিলিমিটার।তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, যে কোন সময় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। তাই দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে। জাহেদুল ইসলাম/এসএস/এমএস
Advertisement