বিনোদন

ছোটপর্দার জয়জয়কার, দর্শকহীন ঈদের চলচ্চিত্র

ঈদের ছুটিতে গত কয়েক বছরে টেলিভিশনের সামনে বসা হয়নি। অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন, দুর্বল কাহিনি আর হাস্যকর নির্মাণে বিরক্ত হয়ে টিভি নাটক দেখাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি; মানে টেলিভিশনের সামনে বসে নাটক-টেলিফিল্ম দেখিনি।

Advertisement

আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখার প্রশ্নই আসে না। সে এক ইতিহাস। সাম্প্রতিক সময়কার ছবিগুলোর গল্প ও নির্মাণ হতাশা ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারছে না। গেল দুই বছরের ঈদগুলোতে কিছু ব্যবসা সফল ছবি দেখা গেলেও গল্প ও চরিত্র কোনো কিছুতেই মনে দাগ কাটার মতো কিছু ছিলো না। আর এবারের ঈদের ছবিগুলো তো মুক্তির আগে থেকেই ছিলো আলোচনাহীন।

তাই ঈদের আনন্দটা মাটি করতে চাইনি ঝুঁকি নিয়ে। তবে ঈদের পরে সেই ধ্যান-ধারণার কিছুটা পরিবর্তন হলো। ছোটপর্দার কিছু চমৎকার কাজ নিয়ে ফেসবুকে সবাই যখন আলোচনা-সমালোচনা করছে; তখন বসলাম ইউটিউবে। দেখলাম কিছু নাটক-টেলিছবি। আমি এবার ব্যক্তিগতভাবে মুগ্ধ হয়েছি।

ঈদ চলচ্চিত্রের বেহাল দশাপ্রথমে একটু ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া সিনেমার কথা বলি। এবারের ঈদুল আজহায় মাত্র তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। যার দু’টির নায়ক শাকিব খান। একটিতে ডি এ তায়েব। সিনেমাগুলো হচ্ছে- সোনাবন্ধু, অহংকার এবং রংবাজ। সোনাবন্ধু ছবিতে ডি এ তায়েবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন পপি এবং পরীমনি। অহংকারে শাকিব খানের বিপরীতে বুবলী এবং তমা মির্জা। রংবাজে শাকিব খানের বিপরীতে এককভাবে বুবলী।

Advertisement

এ ধরনের বাংলা সিনেমা নিয়ে আমার আগ্রহ বরাবরই কম ছিলো। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি হলেই তা দৃষ্টিনন্দন হয় না। তবে কলকাতার ‘শিকারী’ ও ‘নবাব’র শাকিব খানের সঙ্গে বাংলাদেশের তথাকথিত সুপারস্টার শাকিব খানকে মেলাতে পারিনি। হয়তো কোনো দর্শকই পারেননি। তাই এবার আর দর্শকের ঢল নামেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকিব-বুবলীর ‘রংবাজ’ ছবিটি মুক্তির আগেই আগাম পেয়েছিলো এক কোটি টাকার উপরে। হল মালিকরা ভেবেছিলেন এই ছবিটি ধুন্ধুমার ব্যবসা করবে। সেই ভরসাতে ‘রংবাজ’র প্রতি তাদের আগ্রহ ছিলো অনেক। কিন্তু মুক্তির পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। দর্শক টানেনি ছবিটি। প্রায় সব হল মালিকরাই ছবিটি চালিয়ে লোকসানের মুখ দেখেছেন।

আর ‘অহংকার’ ছবিতে আগাম কালেকশান এতোটা ভালো ছিলো না। তাই ক্ষতির সবটাই বইতে হচ্ছে প্রযোজককে। সেইসঙ্গে ‘সোনাবন্ধু’ ছবিটি চালাতে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না হল মালিকরা। তবে যে কয়টি হলে চলেছে, খবর পাওয়া গেছে কিছু হলে শাকিবের দুই ছবির তুলনায় কিছুটা ভালো ব্যবসা করেছে ছবিটি। কিন্তু প্রযোজকের লগ্নির চার ভাগের এক টাকাও উঠবে না বলেই ধারণা ঢাকাই ছবির আড়ত বলে খ্যাত কাকরাইলপাড়ার গুঞ্জন।

আগের ঈদের ছবির সাফল্যের পুরোটাই দাবি করলেও দেশি পরিচালকের উপর দায় চাপিয়ে এ যাত্রায় বাঁচতে চাইলেন শাকিব। কিন্তু একবারও ভাবলেন না, ছবির গল্প ও চরিত্র বাছাই করে কাজ করার স্বাধীনতা নায়কেরই থাকে। জোর করে কেউ তাকে সিনেমা করাতে পারে না। শাকিব খানের মতো নায়ককে তো নয়ই। তাই এসব মানহীন গল্পে ধাপাধাপা-লাফালাফির দায়টা শাকিবকেই দিতে চাই দর্শক হিসেবে। কারণ দর্শক পরিচালক বা প্রযোজক দেখতে হলে যায় না। তারা নায়ক আর নায়িকার টানেই পকেটের টাকায় টিকিট কিনে সিনেমা দেখতে যায়।

Advertisement

পাশাপাশি এই কথটাও সত্য যে, শাকিব বদলাননি, তাকে জোর করে সাময়িকভাবে বদলানো হয়েছিলো। এখন কথা হলো কেউ যদি নিজের উন্নতি নিজে না করতে পারে অন্যজন তাকে কতটুকু উন্নতি উপহার দিতে পারে? শাকিব খান কী ভেবে দেখবেন?

আর বুবলীকে নিয়ে সবিশেষ বলার কিছু নেই। আমার মনে হয়- বুবলীর সিনেমাজগৎ রঙিন হওয়ার নয়। তার দুর্বল অভিনয়, বাচন ভঙ্গি, এক্সপ্রেশন দারুণ হতাশাজনক। হয়তো বলা বাড়াবাড়ি হবে যে তার স্থায়ীত্ব হবে খুবই কম সময়। যেটুকু আলোচনা তিনি পান সে কেবল শাকিবের নাম কেন্দ্র করে। নায়িকা হিসেবে বুবলী না গড়তে পেরেছেন দর্শক, না পেয়েছেন পচিালক-প্রযোজকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা।

আর পপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। তাই চূড়ান্ত পতনের আগে তার চরিত্রচয়নে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। পাশাপাশি তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী একজন অভিনেত্রীকে ছবির গল্প, নির্মাতা, বাজেটের দিকেও মনযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করি। দিনশেষে সিনেমাতে দর্শক নিজেকে খুঁজে পেতে চায়। নায়িকার মধ্য দিয়ে নিজের প্রিয় নারীটিকে দেখতে চায়। সেইদিক থেকে পপির উপস্থাপন ছিলো হতাশার।

আর পরী আছেন তার মতোই। আলোচিত, কিন্তু দর্শকের কাছে বরাবরই উপেক্ষিত তিনি। তাছাড়া এই ছবিটি নিয়ে খুব একটা প্রচারও চোখে পড়েনি। তাই পপি-পরীর মতো দামি ও জনপ্রিয় দুজন তারকা থাকার পরও মুখ থুবড়ে পড়েছে নায়ক হিসেবে অভিষিক্ত হওয়া ডি এ তায়েবের ‌‘সোনাবন্ধু’।

এই ফাঁকে আরেকটা কথা বলে নিতে চাই ঈদের সিনেমার নায়িকা প্রসঙ্গে। আমার মনে হয়, বুবলীকে আলোচনায় এনেছেন শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাস। এটা কৌশলও হতে পারে। সেই কৌশলে বুবলী ও তাকে বাজারজাত করা মানুষেরা সফলই বলতে হবে। কিন্তু তার ভিড়ে বেদনা দিয়েছে তমা মির্জাকে উপেক্ষা করে বারবার শুধু বুবলীকেই প্রাধান্য দেয়ার বিষয়টি। অভিনয় ক্যারিয়ারে বুবলীর চেয়ে তমা যেমন সিনিয়র তেমনি দক্ষতাতেও। চলতি বছরে দেয়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা পার্শ্ব চরিত্রের স্বীকৃতি পেয়েছেন তমা। এমন একজন অভিনেত্রীকে ‘অহংকার’ ছবির পরিচালক যখন তার ছবিতে উচ্ছিষ্ট বানিয়ে রাখতে চান তখন শিল্প নির্মাণের চেয়ে তার অপেশাদার মনোভাবই বেশি ফুটে উঠে।

চলচ্চিত্রের দৈন্যদশায় এ ধরনের স্ট্যান্ডবাজি কাম্য না হলেও তা চলছে এবং হয়তো চলতেই থাককে। তবে আশা রাখতে চাই, টিভি নাটকের মতো বাংলা চলচ্চিত্রেও বাঁক বদল আসবে। এখন কেবলই সময়ের অপেক্ষা।

এবারের ঈদে ছোটপর্দার সাফল্যআশার কথা হচ্ছে, গেল কোরবানি ঈদে টিভি নাটক-টেলিছবিতে যেন মুগ্ধতার বন্যা বয়ে গেছে। ফেসবুকে ‘বড় ছেলে’ নিয়ে আলোচনার ঝড় দেখে টেলিছবিটি দেখেছিলাম। মুগ্ধও হয়েছি। সেখানেই শেষ নয়- মুগ্ধতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে আরেকটি টেলিছবি ‘ভাঙন’।

আবু হায়াত মাহমুদের ‘ভাঙন’ টেলিছবিটির কথা বলছি। চঞ্চল চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, জাকিয়া বারী মম এবং শিশুশিল্পী আরুবা আফসান জারা চমৎকার অভিনয় করেছেন। মূল কথা হচ্ছে- গল্পটি এ সময়ের নয়। আধুনিক প্রযুক্তির কোলে বসেও দুই যুগ আগের একটি বিচ্ছেদমাখা রোমান্টিক কাহিনি উঠে এসেছে দর্শকের সামনে। এজন্য গল্পকারকে ধন্যবাদ জানাতে হয়- এমন একটি প্লট বেছে নেওয়ার জন্য।

আর একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘বড় ছেলে’। বাঙালির সস্তা প্রেমাবেগকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন পরিচালক আরিয়ান। তবে পরিবারের চেয়ে ভালোবাসাটাই মুখ্য হয়ে উঠেছে এখানে। কেননা গল্পটি না পারিবারিক না প্রেমের। আশার কথা হচ্ছে- গল্পটি গতানুগতিক হলেও অতিমাত্রিকতা ছিলো না। তিনভাগের দুইভাগ জুড়ে প্রেম। পরিবারের কাছে হার মেনেছে ভালোবাসা। একজন আরেকজনকে ছেড়ে যেতে কষ্টই যদি হয়, তবে আরেকটু কষ্ট করে তো একসাথে থাকা যায়। তবে গল্পকার যেটুকু বলতে চেয়েছেন সেটুকুই গল্প। আমরা গল্পটাকে অনেক দিকে ঘোরাতে পারি। নির্মাণের সার্থকতা এখানেই।

টেলিছবিটিতে রাশেদ নামের ছেলেটি একটি দোলাচল বৃত্তির জালে আটকে ছিলেন। কিন্তু বড়লোকের একমাত্র মেয়েটি তার অবস্থান থেকে নিচে নামতে পারেনি। চেষ্টা করলে হয়তো পারতো। সে যাই হোক- গল্প তো গল্পই। সার্থক বড় ছেলে, সার্থক মিজানুর রহমান আরিয়ান!

তেমন করে আলোচনায় না আসলেও প্রশংসিত হয়েছে মোশাররফ করিম অভিনীত নাটক ‘দ্য জেন্টেলম্যান’। নাটক এখানে জীবনের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবিতে নিজেকেই দেখি। সমাজকে দেখি। জীবন নাটকীয় হলেও তার সমাপ্তি কখনো কখনো ব্যর্থতায় ঢেকে যায়। ব্যর্থ মানুষগুলো দেখি চারিপাশে। কখনো কখনো নিজের মধ্যে। জীবন কখনো সুন্দর। কখনো অদ্ভুত সুন্দর। সফলতা হয়তো আসে; কিন্তু এই ব্যর্থতার গল্প সারা জীবন থেকে যায়। কখনো কখনো জীবনে আসে অদ্ভুত সফলতার গল্প। বাস্তবিক টানাপোড়েনে জীবন হয়ে ওঠে সিদ্ধান্তহীন।

এমনই এক গল্পের নাটক ‘দ্য জেন্টেলম্যান’। আরেক মুগ্ধতার নাম। এ যেন একেকটি বিপ্লবের প্রথম স্লোগান। পরিচালক হাসান মোরশেদের নির্মাণ সত্যিই অপূর্ব। যাবতীয় ভাড়ামি, আঞ্চলিকতার কৌতুকপূর্ণ পরিবেশের সমাবেশে যখন বাংলা নাটকের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলাম, সেই মুহূর্তে ‘বড় ছেলে’, ‘ভাঙন’ ও ‘দ্য জেন্টেলম্যান’ আমাকে আশাবাদী করেছে।

নাটকে দেখা গেছে, স্বামীর বিপদে পাশে দাঁড়ানোর মানুষ না থাকলেও সুন্দরী স্ত্রীর পাশে সবাই দাঁড়াতে চায়। স্ত্রীর বুঝতে সময় লেগে গেলে তার একূল-ওকূল দুকূলই যায়। কখনো বা ফিরে আসার ইচ্ছাও জাগে। ব্যর্থ মানুষটার জন্য করুণা হয়। কারণ আর যা-ই হোক, উনি তো জেন্টেলম্যান। এই তো নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারের কাহিনি।

ভালো লেগেছে অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদের নাটক ‘দাম্পত্য’। মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে উচ্চবিত্ত শ্রেণির দিকে উৎরে যাওয়ার গল্প। জীবনের চাহিদা অপরিসীম। স্বামী-স্ত্রীর মান-অভিমান এখানে মুখ্য। তবে নাটকটিতে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীকে বেশি উজ্জ্বল করে তোলা হয়েছে। পরিবারের যত অবদান সবই যেন নারীর। যা আরোপিত সত্য মনে হয়েছে। লজিক খুব দুর্বল মনে হতে পারে দর্শকের কাছে।

স্বামী-স্ত্রীর আলাদা কর্মস্থল। স্বামী অফিসে অমনোযোগী, স্ত্রী কর্মপটু। স্বামী বসের ঝারি শোনেন, স্ত্রীর পদোন্নতি হয়। এসব কিছুই কেমন আরোপিত মনে হয়েছে। তবে অস্বীকার করছি না যে, এমন ঘটনা ঘটে না। ঘটতে পারে। সংক্ষিপ্ত সময়ে বিপরীতমুখি দৃশ্যায়নে কিছুটা বিরক্তির কারণ হতে পারে।

সমকালীন প্রেক্ষাপটের নাটক দাম্পত্য। উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষের অর্থাভাব না থাকলেও বোধ এবং ভালোবাসার বড্ড অভাব। নাটকটির নামেই এর রহস্য সবটুকু চোখে পড়ে। একটি দাম্পত্য জীবনের খণ্ডাংশ। তবে কলকাতার একটি সিনেমার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে এ নাটকের মধ্যে। এখানে রোমান্সের চেয়ে বৈপরীত্য বেশি। সমাপ্তিটা ভালো লেগেছে। তবে খুব বেশি আলোচনায় আসার মতো নয়।

উল্লেখ করা যায় নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসানের ‘গাছ বলদ’ নাটকের নামটিও। গ্রামে বেড়ে উঠা একজন বোকা মানুষের অভাবনীয় সাফল্য মেনে নিতে পারে না হিংসায় জর্জরিত গ্রামের মানুষ। দিনে দিনে মানুষে মানুষে বিশ্বাসের যে অবক্ষয় সমাজে ঘটছে তারই দারুণ এক প্রতিচ্ছবি দেখা গেল এই নাটকে। বরাবরের মতো এবারেও এই নাটকে বেস্ট ছিলেন জাহিদ হাসান।

এছাড়াও ‘মিস ম্যাচ’, ‘ব্যাচ ২৭’, ‘দ্য হিরো’, ‘হিরোগিরি’, ‘বুবুন যাবে শ্বশুরবাড়ি’, ‘মাটির মানুষ’ নাটক-টেলিছবিগুলোও বেশ প্রাণ দুলিয়েছে। পাশপাশি দর্শকপ্রিয় ছিলো বিটিভিসহ নানা চ্যানেলের বৈচিত্রময় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান-সেলিব্রেটি টক শোগুলো।

শেষকথা আমরা মূলত আলাদা ফ্লেভার চাই। একই নাটকের পুনঃপ্রচার নয়, নতুন উপস্থাপনা, ভিন্নতর কাহিনি খুব বেশি প্রয়োজন। বাংলা নাটকে পাণ্ডুলিপি সংকট হয়তো কাটতে শুরু করেছে। আলোচিত নাটক-টেলিছবিগুলো প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ধাচের। আলাদা সময়ের, অালাদা প্রেক্ষাপটের, অালাদা জীবনের, আলাদা চরিত্রের। সার্থকতা এখানেই। আশা করি এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে। বাংলা চলচ্চিত্রও সব সংকট কাটিয়ে দর্শকহৃদয় জয় করবে। জয় হোক নাটকের, ঘুরে দাঁড়াক সিনেমা।

এসইউ/এলএ