কুষ্টিয়ায় সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাখইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত কৃষক সাহানুর মারা গেছেন। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
Advertisement
নিহত সাহানুর মধ্য বাখইল গ্রামের মারফত মন্ডলের ছেলে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের তিনজন নিহত হলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার রহমান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই বিল্লাল হোসেন ও এনামুল হোসেন নামে দুইজন নিহত হয়। ওই সংঘর্ষে কেরামত গ্রুপের সমর্থক সাহানুর বুকে ফালা বিদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এসময় উভয় পক্ষের আরো ১০ জন আহত হয়। গত পাঁচদিন পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সাহানুরের চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
Advertisement
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, আজ সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমলেশ দাস বাদী হয়ে হত্যা এবং পুলিশকে মারপিট ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অপরাধে ১শ জনকে এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত আরো তিনশ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহসহ প্রায় ৩০ জনকে পুলিশ আটক করেছে।
আল-মামুন সাগর/এফএ/আইআই
Advertisement