খেলাধুলা

হঠাৎ নয়, আগে থেকেই বিশ্রামের চিন্তা ছিল সাকিবের

আর কেউ নন, ক্রিকেটারটি সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবিসংবাদিত মহা-নায়ক। যে কোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মূল সম্পদ। শক্তি। যিনি একাধারে ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে বোলারও। তার রেকর্ড-পরিসংখ্যান নিয়ে নতুন করে আলাপ আলোচনার কিছু নেই।

Advertisement

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সবচেয়ে বড় শক্তি, সবচেয়ে কার্যকর ‘অস্ত্রের’ নাম সাকিব আল হাসান। তাকে ছাড়া বাংলাদেশ কোন ফরম্যাটের কোন ম্যাচ বা সিরিজ খেলেনি, তা নয়। খেলেছে। জিতেছেও।

কিন্তু সেটা অতীত। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বও মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বহিস্কার থাকার কারণে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা হয়নি সাকিবের। এই তিন বছরে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ দল হিসেবে সবচেয়ে উন্নতি করেছে।

ব্যক্তি নির্ভরতাও আগের যে কোন সময়ের চেয়ে কমেছে। এখন আর বাংলাদেশ দল বলতেই সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফি আর মাহমুদউল্লাহকে বোঝায় না। আরও কিছু নাম, আর ক’জন মেধাবি ও কার্যকর পারফরমার চলে এসেছেন। যাদের সন্মিলনে এখন ব্যক্তি নির্ভর দলের লেভেল গা থেকে সরে গেছে। এখন অনেকেই ডাকেন ‘টিম বাংলাদেশ।’

Advertisement

তারপরও সাকিব-সাকিবই। এখনো আগের মতই চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার। তার ব্যাট ও বল এখনো দলের সাফল্যে সবচেয়ে বড় উপাদান। এমন এক অতি নির্ভরযোগ্য পারফরমার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে স্বেচ্ছায় বিশ্রামে। ভক্ত-সমর্থক ও অনুরাগীদের মনে নানা প্রশ্ন।

কেন হঠাৎ স্বেচ্ছায় সাময়িকভাবে বিশ্রামে চলে যাওয়া? এটা কি হঠাৎ করে নেয়া কোনো সিদ্বান্ত? নাকি আগে থেকেও এমন চিন্তা মাথায় ছিল সাকিবের? এসব নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে।

আজ নিজ বাড়িতে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনেক কথার ভীড়ে সাকিব জানিয়ে দিলেন, হঠাৎ করেই এত বড় সিদ্ধান্ত নয়। বেশ কিছু দিন ধরেই মনে হচ্ছিল, কিছুদিন বিশ্রাম নিলে কেমন হয়?

পরিবারের সদস্য এবং স্ত্রী শিশিরের সাথে এ নিয়েও কথাও হয়েছে তার। আজ দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে সে কথাই জানালেন সাকিব।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই মনে হচ্ছে বিশ্রামের বিষয়টা। এটা আমি আগে আলোচনাও করেছি। এমনকি এই টেস্ট সিরিজের আগে কথা বলে রেখেছি। আমার পরিবারের সঙ্গে। পরিবার বলতে স্ত্রীর সঙ্গে এবং আমার কাছের যারা আছে, সবাই জানত যে আমি এরকম চিন্তা করছি। আমি মনে করি এটা আমার জন্য উপকারী হবে। যেহেতু অনেক বেশি খেলা হয়, আমার ফিটনেসটাও ট্রেনিং) ওভাবে করা হয় না বা করা হলেও মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকার যে ব্যাপারটি আছে, সেটি হয় না। তাই কিছুদিন বিশ্রামে থাকার চিন্তার উদ্রেক। আর এমন তো নয় যে দু-একদিন খেলেই ছেড়ে দিচ্ছি। ১০-১১ বছর হয়ে গেল, একটি বিরতি তো নিতেই পারি। এটা আমার প্রাপ্য।’

এআরবি/আইএইচএস/এমএস