২০১৫ বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিটা যেন পুরোপুরি পর হয়ে গিয়েছিল ক্রিস গেইলদের জন্য। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টিতে আরও কিছুদিন খেললেও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপই ছিল গেইলদের জন্য শেষ। অবশেষে ২ বছরেরও বেশি সময় বিরতির পর আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রঙ্গিন জার্সির ক্রিকেটে ফিরছেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব।
Advertisement
ক্রিস গেইলদের ওয়ানডে ক্রিকেট দলে না ফিরিয়েও লাভ নেই। কারণ, ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে এখন গেইলদেরই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ক্যারিবীয়দের। এমনিতেই রয়েছে পুরোপুরি খাদের কিনারায়। আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবে কি না ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেটাই এখন মূল শঙ্কার বিষয়। আগামী ৬টি ম্যাচ টানা জিততে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। একটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, যেটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার। বাকি ৫টি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
গেইলের অন্তর্ভূক্তিতে আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল অনেক বাড়িয়ে দেবে বলেই বিশ্বাস ক্রিকেট বোদ্ধাদের। সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রে গেইলের অন্তর্ভূক্তি ক্যারিবীয়দের জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস সবার।
বুধবারই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারেন গেইল। ১৫ সদস্যের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডে এসে পৌঁছেছেন হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যান। গেইলের সঙ্গে দলে ফিরেছেন মারলন স্যামুয়েলস এবং জেরোম টেলরও।
Advertisement
২০১৬ অক্টোবরের পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে ছিলেন না স্যামুয়েলস। জেরোম টেলর সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচক কমিটির প্রধান কোর্টনি ব্রাউন বলেন, ‘গেইল এবং স্যামুয়েলসের দলভুক্তি আমাদের ব্যাটিং শক্তিকে অনেক বাড়িয়ে দেবে।’
আইএইচএস/এমএস