খেলাধুলা

৫ বছর বেশি খেলতে ৬ মাসের ছুটি : সাকিব

সাকিবের ছুটি চাওয়াতে হতবাক হয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমিরা। হঠাৎ কি এমন হল যে, সাকিব ছয় মাসের জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিশ্রামে যেতে চাচ্ছেন! সারাদেশে ক্রিকেট অনুরাগী সবার মনে একটাই প্রশ্ন, এটা কি নিছকই বিশ্রাম নাকি অন্যকিছু? অবশেষে সাকিব নিজেই জবাব দিলেন এই প্রশ্নের।

Advertisement

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে এসে সাকিব জানান, দলকে দীর্ঘ সময় সার্ভিস দেয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ছয় মাস ছুটির কারণে হয়তো আরও পাঁচ বছর বেশি খেলতে পারব। দেশকে হয়তো আরও বেশি কিছু দিতে পারবো।

নিজের শারিরীক অবস্থার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি বুঝি, আমার শরীর কী চায়। আমার এই বিশ্রামের সিদ্ধান্তের বিষয়ে হয়তো অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এটার পক্ষে বিপক্ষে মতামত থাকতেই পারে। হয়তো আছেও। তবে আমি জেনে-বুঝেই বিশ্রামে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধন্যবাদ বিসিবিকে, আমাকে বোঝার জন্য এবং আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য।’

এ সময় সাকিবের কাছে প্রশ্ন করা হয়, আপনার এভাবে বিশ্রাম চাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হবে কি না? জবাবে সাকিব বলেন, ‘না আমি এটা মনে করি না।’

Advertisement

এর আগে গতকাল (সোমবার) সাকিব তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিশ্রাম সম্পর্কে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে ভক্তদের উদ্দেশ্যে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তবে ছুটির বিষয়ে আজই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন তিনি।

কয়েকদিন ধরেই ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল, টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ছয় মাসের ছুটি চাওয়ার বিষয়টি। সাকিব ছয় মাসের ছুটি আবেদন করলেও বিসিবি তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দুই টেস্টের জন্যই কেবল ছুটি দিয়েছেন। তবে বোর্ডের নির্বাচকরা জানিয়ে দিয়েছেন, সাকিব চাইলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন তিনি।

এসব বিষয় নিয়ে যখন চলছে তর্ক-বিতর্কের ঝড়, তখনই মুখ খুললেন সাকিব । আর জানালেন, দলকে দীর্ঘ সময় ধরে সার্ভিস দেয়ার জন্যই আমার এমন সিদ্ধান্ত।

সাকিব নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি জেনে বুঝেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি, আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। ধন্যবাদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে যে, তারা আমাকে বুঝতে পেরেছেন।’

Advertisement

সাকিব বিশ্রামে থাকলেও তার অভাববোধ করবে দল। যার প্রমাণ মেলে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচকের বক্তব্যে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেছিলেন, ‘সাকিব না থাকায় দল ব্যাকফুটে থাকবে। তার অভাববোধ হবে; কিন্তু কি আর করা? সে বিশ্রাম চেয়ে ছুটি চেয়েছে। বোর্ডও ছুটি মঞ্জুর করেছে। তাই তাকে ১৫ জনের দলে রাখা হয়নি। তবে সাকিব চাইলে দ্বিতীয় টেস্টেই দলে ফিরতে পারবে।’

এআরবি/এমএএন/এআরএস/আরআইপি