২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কাটা যাবে না বলে জানান আইনজীবীরা।
Advertisement
একই সঙ্গে নম্বর কেটে নেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য স্বচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।
দ্বিতীয় বার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে মেধা তালিকা তৈরির সময় ৫ নম্বর কেটে নেয়ার সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টে রিটটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৫ নম্বর কর্তন করার সিদ্বান্ত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণদের পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
Advertisement
আজ অধিদফতরের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন আদালত। আদালত বলেন, হঠাৎ করে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ হয়নি। সিদ্ধান্ত এক বছর আগে নেয়া উচিৎ ছিল। নীতিমালা করে কারো সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়, আবার কাউকে কাউকে বাদ দেয়ার জন্য নীতিমালা করা হয়।
এফএইচ/এনএফ/জেআইএম