বাংলাদেশে কত ধর্মের মানুষ বসবাস করে এর কোন তালিকা বা তথ্য নেই ধর্মমন্ত্রণালয়ের কাছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এমন তথ্য জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকার স্বীকৃত কোন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে আলাদা করা হয়নি। বাংলাদেশে যে কোন ধর্মের লোক স্বাধীনভাবে বসবাস করছে।মন্ত্রী জানান, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীভিত্তিক ভিন্ন ভিন্নভাবে মোট ব্যয় করা হয়েছে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মুসলিম ধর্মীয় খাতে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, হিন্দু ধর্মীয় খাতে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, খ্রিষ্টান ধর্মীয় খাতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বৌদ্ধ ধর্মীয় খাতে ৩৬ লাখ টাকা।তিনি আরো জানান, এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের আওয়তাধীন সংস্থা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট হতে গত অর্থবছরে সারাদেশে মঠ, মন্দির ও আশ্রম সংস্কার বা মেরামতের জন্য ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং দুঃস্থ ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য হিসেবে ৩২ লাখ ২ হাজার টাকাসহ সর্বমোট কোট ৭৬ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী জেলা ও উপজেলাভিত্তিক একটি করে মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।তিনি বলেন, ঢাকাস্থ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, চট্টগ্রামস্থ আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ ও জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ও কমপ্লেক্স এবং রাজশাহী হেতেম খা জামে মসজিদ সরকারিভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালিত হয়।সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সরকারি ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ মাসিক ২ হাজার ৩ শ’ টাকা হারে সম্মানি ভাতা পেয়ে থাকেন।এইচএস/এসএইচএস/আরআই
Advertisement