স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত নকল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের কারণে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই সময় ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬শ` টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া ছাড়াও বিপুল পরিমাণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত তাজুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি। সরকার দলীয় এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বলেন, কথাটি আংশিক সত্য। তবে বদলি বা প্রেষণের জন্য নয়; অল্প কিছু চিকিৎসক পারিবারিক ও কর্মস্থলের নানা জটিলতার কারণে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরে ভিড় জমাচ্ছেন।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গ্রামে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের দুইবছর পূর্ণ হওয়ার পরই বদলির আবেদন বা উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রেষণের আবেদন বিবেচিত হয়। তবে গ্রামে নিয়োগ প্রাপ্তদের দুইবছর থেকে বাড়িয়ে তিনবছর থাকা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছে সরকার। জনস্বার্থে সরকারি নীতিমালা কঠোরভাবে কার্যকর করা আছে। তাছাড়া জনস্বার্থে গ্রামের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের চাকরি তিনবছর করার পরিকল্পনা রয়েছে।১৯ হাজার ৮শ’ ৩ জন স্বাস্থ্য-সহকারী নিয়োগের পরিকল্পনা:আয়েশা ফেরদাউসের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একজন করে স্বাস্থ্য-সহকারী পদ থাকার কথা। বর্তমানে ৪০ হাজার ৬শ’ ৮০টি ওয়ার্ডের জন্য ২০ হাজার ৮শ’ ৭৭টি স্বাস্থ্য-সহকারী রয়েছে। যে কারণে স্বাস্থ্য-সহকারীদের ওপর কিছুটা বাড়তি চাপ থাকছে। তাদের ওপর বাড়তি চাপ কমাতে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে স্বাস্থ্য-সহকারী নিয়োগের লক্ষ্যে ১৯ হাজার ৮শ’ ৩টি পদ সৃষ্টির কার্যক্রম চলমান।মামুনুর রশীদ কিরণের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের চাহিদার ৯৭ শতাংশ পূরণ করে বিদেশে ওষুধ রফতানি করা হচ্ছে। প্রতি বছরই রফতানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিশ্বের ৯২টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হয়েছে।এইচএস/আরএস/পিআর
Advertisement