হুমকি ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অকথ্য ভাষায় লেখা (হাতে লেখা) বেনামে আসা একটি চিঠি পাওয়ায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে রাজধানীর বনানী থানায় এ জিডি (জিডি নং ৫০২) করেন তুরিন আফরোজসহ কয়েকজন প্রসিকিউটর।প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন তুরিন আফরোজ। গত বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এ চিঠি পান তিনি।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুব খান। তিনি জানান, ‘হ্যা, তুরিন আফরোজসহ কয়েকজন প্রসিকিউটর এসেছিলেন। জিডি করেছেন। জিডি নম্বর: ৫০২। তবে তদন্তের স্বার্থে জিডির ভাষ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম চিঠির বিষয়ে বলেন, অশ্লীল মন্তব্য ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লেখা বেনামি ওই চিঠির কারণে অনিরাপদবোধ করে জিডি করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বীকার করেন তুরিন আফরোজ। তিনি জানান, সকালেই প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে চিঠির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালকে অবহিতের পর এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স), ডিজিএফআইসহ (ডিরেক্টরেট অব জেনারেল ইন্টিলিজেন্স) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠির বিষয়টি জানানো হয়েছে।তিনি আরো বলেন, চিঠিতে পেশাগত বিষয় ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। চিঠির ভাষা অত্যন্ত অশালীন, যা সভ্যরা উচ্চারণ করতে পারবেন না।ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘অবমাননাকর’ বিবৃতি দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-২ এর দণ্ডপ্রাপ্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ২২ নাগরিকের কেউ এ চিঠি পাঠিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন তুরিন আফরোজ।তিনি বলেন, চিঠির বিষয়বস্তুতেও এটি উল্লেখ থাকায় তার এ ধারণা হচ্ছে।গত ১২ মে তুরিন আফরোজের নামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তুরিনের শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য উল্লেখ করেই তাকে হুমকি ও গালাগালি করা হয়েছে। এর আগেরদিন ১১ মে তিনি ২৩ নাগরিকের আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রুল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন।জেইউ/আরএস
Advertisement