‘সাকিব আল হাসান’- কোনোরকম হিসেব নিকেশ না করে আর পরিসংখ্যান না ঘেঁটেই বলে দেয়া যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পারফরমার। নামের সাথে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমা লেগে আছে প্রায় আট বছর। হোক তা টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি- সাকিব ‘টু ইন ওয়ান’। যার ব্যাট ও বল সমানে চলে।
Advertisement
তাই ব্যাটসম্যান সাকিব ও বোলার সাকিব দুই’ই দলের সম্পদ। কেমন সম্পদ? একটি পরিসংখ্যানেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। টেস্টে সাকিব (৩৫৯৪ রান) বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। তামিম ইকবালের (৩৮৪৭) ঠিক পিছনে। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বাধিক (৫১ টেস্টে ১৮৮) উইকেট শিকারীও সাকিব।
ওয়ানডেতেও ঠিক তাই। সবচেয়ে বেশি রান তামিমের (৫৭৪৩)। সাকিব (৪৯৮৩) দ্বিতীয়। আর ওয়ানডেতে মাশরাফির (২৩১) এর পর দ্বিতীয় সর্বাধিক ২২৪ উইকেট সাকিবের। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে সাকিব ব্যাট ও বল হাতে সবার ওপরে। সবচেয়ে বেশি (৭০ উইকেট) ও সবচেয়ে বেশি ১২০৮ রানও তার।
একজন অলরাউন্ডারের পক্ষে এরচেয়ে ভাল রেকর্ড আর পারফরম্যান্স কিই বা হতে পারে? তাই তো সাকিব সব্যসাচি এক ক্রিকেটার। টিম বাংলাদেশের প্রাণ ভোমরা, চালিকাশক্তি।
Advertisement
এমন এক সেরা পারফরমার দক্ষিন আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে নেই! বিশ্রাম চেয়ে ছুটির আবেদন করেছেন তিনি। বিসিবিও তা মঞ্জুর করে নিয়েছে। সুতরাং, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই টেস্টের সিরিজ মিস করবেন সাকিব। দলও তাকে মিস করবে।
আজ বিকেলে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও অকপটে স্বীকার করে নিলেন, সাকিবের অভাব বোধ হবে দারুণভাবে। তার ভাষায়, ‘সাকিব না থাকায় দল ব্যাকফুটে থাকবে। তার অভাববোধ হবে; কিন্তু কি আর করা? সে বিশ্রাম চেয়ে ছুটি চেয়েছে। বোর্ডও ছুটি মঞ্জুর করেছে। তাই তাকে ১৫ জনের দলে রাখা হয়নি। তবে সাকিব চাইলে দ্বিতীয় টেস্টেই দলে ফিরতে পারবে।’
ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সাতটি টেস্ট মিস করেছেন সাকিব। অভিষেকের পর দলে জায়গাটা স্থায়ী হবার আগে তিনটি টেস্ট দলের বাইরে ছিলেন। আর দলে জায়গা পাকাপোক্ত হবার পর চারটি টেস্ট খেলতে পারেননি। যার দুটি ইনজুরির কারণে। আর দুটি সাসপেন্সনের খাড়ায় পড়ে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা হয়নি তার।
এআরবি/আইএইচএস/আইআই
Advertisement