আইন-আদালত

ভবন ভাঙতে ২৫ দিন সময় পেল বিজিএমইএ

রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয় সরাতে আরও ২৫ দিন সময় পেল কর্তৃপক্ষ। এক বছর সময় চেয়ে সংগঠনের পক্ষে করা আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ৫ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

Advertisement

সোমবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত শুনানির জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। আগামী ৫ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

বিজিএমইএর আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে অবকাশকালীন থাকায় চেম্বার আদালত নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ঠিক করেছেন। ফলে ভবন ভাঙতে আপিল বিভাগের নির্ধারণ করে দেয়া সময়ের পর আরও ২৫ দিন সময় পেল কর্তৃপক্ষ।

আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, তার সঙ্গে ছিলেন ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম।

Advertisement

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে বিজিএমইএ ভবন সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষ থেকে তিন বছর সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তাদের ছয় মাস সময় দিয়েছিল। আজ ছিল ছয় মাস শেষ হওয়ার সর্বশেষ দিন। তবে ওই ছয় মাস সময় শেষ হওয়ার আগেই আরও এক বছর সময় চেয়ে গত ২৩ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করে বিজিএমইএ।

গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিজিএমএই সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, তারা আদালতের কাছে আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। আজ ওই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।

বিজিএমইএর আইনজীবী ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম জানান, সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে অবকাশ চলায় চেম্বার আদালত ছুটির পরে শুনানির দিন ঠিক করে দিয়েছেন। ফলে ভবন ভাঙতে আপিল বিভাগের নির্ধারণ করে দেয়া সময়ের পর আরও ২৫ দিন সময় পেল বিজিএমইএ।

Advertisement

গত ১২ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএকে ভবন ভাঙতে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল, যা সোমবার শেষ দিন ছিল। এর ঠিক একদিন আগে বিজিএমইএর আবেদনের ওপর আদালত আজ এ আদেশ দিলেন।

গত ২৩ আগস্ট কার্যালয় অন্যত্র সরাতে আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়, যা আজ আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি শুনানি করেন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছাড়া বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ বিষয় নিয়ে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু-আপিল করে বিজিএমইএ। এই লিভ-টু-আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এফএইচ/জেএইচ/এমএস