কোনো দেশের স্বাধীনতার সফল নেতৃত্ব শেষে একটি রাজনৈতিক দলের দায় ও দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার ইতিহাস আমরা জানি। আবার এই ইতিহাসও আমাদের জানা যে, স্বাধীনতার পর নতুন দেশটি পুনর্গঠনেও দলটি সমান ও ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
Advertisement
উপমহাদেশে এরকম দু’টি দেশের কথা আমরা জানি, একটি ভারত, অন্যটি বাংলাদেশ, যেখানে কংগ্রেস ও আওয়ামী লীগ সদ্য স্বাধীন ভারত ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে, সংবিধান প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশেই স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশটির স্থপতিকে সপরিবারে হত্যার পর সে দেশের সেনা বাহিনী কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করেছে বা সেই দলটি দেশের ভেতর জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেরকম প্রমাণ পাওয়া যায় না।
সেদিক দিয়ে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম, এমনকি পাকিস্তানেও জেনারেল জিয়াউল হক বা জেনারেল পারভেজ মোশাররফ কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করেননি, পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু ক্ষমতার বাইরে জন্ম নেয়া রাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু বাংলাদেশ শুধু ব্যতিক্রম এ ব্যাপারে, তাই-ই নয়, বাংলাদেশের জনগণকে আমরা অত্যন্ত রাজনীতিপ্রবণ বলেও জানি কিন্তু তারাই একটি সামরিক ছাউনীজাত রাজনৈতিক দলকে পরবর্তীতে ক্ষমতায় বসিয়েছে, যার জন্ম প্রক্রিয়া একজন উচ্চাভিলাষী জেনারেল-এর “রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের জন্য কঠিন” করে তোলার প্রতিশ্রুতির ভেতর দিয়ে হয়েছে। অর্থাৎ একটি বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া এদেশে রাজনৈতিক ভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই ১৯৭৬ সালেই।
জিয়াউর রহমান নিজেকে একজন সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালের নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের পর যে বেতার ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন তাতে। তারও আগে ১৯৭১ সালে তিনি কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে বলেছিলেন তিনি এদেশের ‘প্রভিন্সিয়াল চিফ’, যদিও পরে তিনি বাধ্য হন তার ওই ভাষ্য পরিবর্তন করতে। কিন্তু তিনি যখন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন বলে মনস্থির করেন তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি নিজেকে পরিচয় দেন একজন শ্রমিক হিসেবে। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজেকে মেজর জেনারেল থেকে লেফটেনেন্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দেন এবং একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে সরকারের অর্থে, সরকারি প্রভাবে, সেনা বাহিনীর সকল ক্ষমতা ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম দেন, যার নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। এর আগে তিনি দু’বার রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য জাগদল ও জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট হিসেবে কাজ শুরু করলেও শেষাবধি তিনি নিজে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি’কেই একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন, যা মূলতঃ ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে এদেশে যাত্রা শুরু করে।
Advertisement
আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, যে সময়ে বিএনপি গঠিত হয়েছিল সে সময় এদেশে কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি। জাসদ ৭ই নভেম্বরের তথাকথিত বিপ্লব ও সংহতি ঘটাতে গিয়ে এক প্রকার আত্মহত্যাই করেছে বলতে হবে, জিয়াউর রহমান দলটির নেতৃত্বকে হয় মেরে ফেলেছেন, নয় জেলে ঢুকিয়েছেন আর যারা পালাতে পেরেছিলেন তারা হয় দেশের ভেতর না হয় বিদেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন, রাজনীতিতো দূরের কথা তাদের বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে উঠেছিল তখন। ঠিক সেই সময় জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল খোলার জন্য যাদেরকে পাশে রেখেছিলেন তারা মূলতঃ পাকিস্তানি রাজনীতির বাকি-বকেয়া ব্যক্তিত্ব, যারা পরবর্তীতে একাধিকবার দল বদল করেছেন এবং যখন কেউ ক্ষমতায় গিয়ে তাদের সামনে বাসন রেখেছেন তারা জিভ বের করে সেই বাসনে মুখ দিয়েছেন। তবে জিয়াউর রহমান কাউকেই বিশ্বাস করতেন না, যাদেরকে তিনি সঙ্গে রেখেছিলেন তাদেরকে বার বার প্রমাণ দিতে হয়েছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে, ফলে রাজনৈতিক দল গঠন করেও জিয়াউর রহমান শান্তিতে থাকতে পারেননি। ফলে তিনি তার দলের বি-টিম খুঁজেছেন এবং পাকিস্তান থেকে গোলাম আজমকে ফিরিয়ে এনে তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে উন্মুক্ত করেছেন; তিনি বুঝেছিলেন যে, একসময় তার দলের শক্তিবর্ধক হিসেবে এই রাজনৈতিক দলগুলো মকরধ্বজ হিসেবে কাজে দেবে। তিনি যে রাজনৈতিক ভাবে দূরদর্শী ছিলেন একথা তার চরম শত্রুও স্বীকার করবে কারণ জামায়াত এখন বিএনপিকে চালাচ্ছে বলেই আমরা জানি।
কিন্তু সেনা শাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যে জনপ্রিয়তার গল্প আমরা শুনে থাকি তিনি ততোটা জনপ্রিয় আদৌ ছিলেন কিনা তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। কিন্তু বাংলায় বক্তৃতা দিতে না জানা জিয়াউর রহমান সাফারি স্যুট আর কালো চশমা পরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এক ধরনের হি-ম্যানশিপ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন ঠিকই, কারণ সেই মুহূর্তে তার বিকল্পতো কোনো রাজনৈতিক নেতা এদেশে ছিল না। যদি থাকতো তাহলে জিয়াউর রহমান জনপ্রিয় হতেন কিনা সে প্রশ্ন তোলাটা সহজ হতো, কিন্তু জিয়াউর রহমানতো হ্যাঁ-না ভোট এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় শতভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়ে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বীতাহীন নির্বাচনে জিয়াউর রহমান কী করেছেন সেটা দিয়ে তার জনপ্রিয়তা যাচাই করাটা যুক্তিসঙ্গত হবে না। কিন্তু একথা বলাটা মোটেও অসঙ্গত হবে না যে, জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশা ছিল এদেশের রাজনীতিতে রাজনীতিকশূন্য ও পুরোপুরি এক ফাঁকা ময়দান, যেখানে জিয়াউর রহমান কখনও অর্থ দিয়ে, কখনও শক্তি প্রদর্শন করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিকল্প একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম গঠন করেছিলেন যার নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি।
কিন্তু এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি যে ভূমিকা পালন করে তা মূলতঃ একটি রাজনৈতিক দলের ভূমিকাই ছিল। আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা এসে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর বিএনপি’র তৎকালীন নেতৃত্ব বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী বেগম জিয়াকে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন করেছিলেন বলে বিএনপি’র রাজনীতি একটি সিভিলিয়ান চেহারা লাভ করে, পরবর্তীতে বেগম জিয়া এটুকু নিশ্চিত করেছেন যে, জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ কাউকেই তিনি তার পাশে রাখেননি। এমনকি জিয়াউর রহমানের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচারটা পর্যন্ত বেগম জিয়া সম্পন্ন করেননি, কেন করেননি সেটা এক চরম বিস্ময়ের ব্যাপার, কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মী বা জিয়াউর রহমানের পুত্ররা পর্যন্ত জিয়া হত্যা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন তোলে না। তারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মানে কিন্তু তার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার সম্পন্ন করার কাজটি একাধিকবার ক্ষমতায় গিয়েও তারা করেনি। কেন করেনি সে প্রশ্ন একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে আমার আজীবন থেকেই যাবে।
কিন্তু যে বাস্তবতায় ও সময়ে বিএনপি নামক রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমটির এদেশে জন্ম হয়েছিল তাতে দলটি এদেশের রাজনীতি, সমাজনীতি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিশাল কিছু সংযোজন করতে সমর্থ হতো, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই, কারণ তাদের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে কেউ ছিল না। এমনকি যে ক’বার বিএনপি সরকার গঠন করেছে সে ক’বারই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দলটি সরকার চালিয়েছে, ফলে তাদের দেওয়ার ছিল অনেক কিছুই। কিন্তু দলটি দেশটির সংবিধান থেকে মৌলিকত্ব কাট-ছাঁট করা ছাড়া আর ধর্মকে সংবিধানে জুড়ে দেয়া ছাড়া আর তেমন কিছুই কিন্তু জাতিকে দেয়নি যা থেকে আমরা বলতে পারি যে, সেনা ছাউনিতে জন্ম হলেও দলটি জাতিকে গণতান্ত্রিক কোনো প্রতিষ্ঠান দিতে সক্ষম হয়েছে। কোনো নিরপেক্ষ গবেষক যদি বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, সংবিধানের কিছু মৌলিক পরিবর্তন যার সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব এদেশের রাজনৈতিক জীবনে পড়েছে পরবর্তীতে যেমন ‘বিসমিল্লাহ্’ সংযোজন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ নামে এক ধরনের ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের প্রচলন ছাড়া বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় গিয়ে আর কোনো ইতিবাচক সংযোজন রাজনীতিতে আনতে পারেনি। তারা ‘ডে টুডে বিজনেস’ হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছে এবং দেশের উন্নয়নের অর্থকে নিজেদের ‘পকেট মানি’ হিসেবে দেখতেই বেশি অভ্যস্ত ছিল।
Advertisement
একই সঙ্গে এদেশে ধর্মের নামে বোমা বিস্ফোরণের রাজনীতিকেও তারা প্রমোট করেছে। একই সঙ্গে তার ১৯৭৫ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত কী করে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ‘খতম’ করে ফেলা যায় তার পেছনে শক্তি ক্ষয় করেছে। পাকিসস্তান-নির্ভরতা থেকে দলটি এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি, যদিও পাকিস্তানের ক্ষমতা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ-বিরোধী প্ল্যাটফরম হিসেবে বিএনপি এদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যা দিতে পারতো তা নিয়ে এখন আলোচনা হওয়াটা জরুরি। কারণ বিএনপি এদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা, এই বাস্তবতা থেকে আমরাতো বেরুতে পারবো না, এতো ঘটনা-দুর্ঘটনার পরও বিএনপি এদেশের একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল, ফলে তার কাছ থেকে দেশ ও জাতি কী পাচ্ছে বা পেতে পারে সে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ থাকতেই পারে বা থাকা উচিতও।
কিন্তু এমনটি ঘটা স্বাভাবিক যে, একটি আদর্শহীন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম যেখানে বেশিরভাগই কেবল ব্যক্তিগত উন্নয়নের লক্ষ্যে গিয়ে জমায়েত হয় এবং দেশের আরেকটি প্রধান রাজনৈতিক দলকে ঘৃণা করে বলেই কেবল সেই দলটিকে বেছে নিয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান যখন ক্ষমতালাভ করে তখন ক্ষমতাকে কীভাবে ও কতো প্রকারে ব্যবহার করে নিজের ফায়দা নিশ্চিত করা যায় তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে পর্যালোচনা করলেই আমরা এর সত্যতা দেখতে পাই। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে গিয়েও যে এই প্ল্যাটফরমটি একটি কার্যকর ছায়া সরকার কখনও প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল তা আমরা দেখিনি, বিশেষ করে সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে দেশবাসীকে সরকার-বিরোধী করে তোলার কোনো রাজনীতি আমরা বিএনপি’র কাছ থেকে আজ পর্যন্ত পাইনি। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় বহু জায়গায় ব্যর্থতার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে যা বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করতে পারতো কিন্তু তারা সেটা পারেনি কারণ তারা কখনও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে তাদের শক্তি ও ক্ষমতাকে ব্যয় করেছে না হয় নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে রাজনৈতিক আপোস করেছে। ফলে বিএনপি কেবল ‘সরকারি দল’ হিসেবেই এদেশে রাজনীতি করে গেছে আর বিরোধী দল হিসেবে ক্রমশঃ ম্রিয়মানই হয়েছে, কখনও ঝলসে উঠতে পারেনি।
এতো দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার অভিজ্ঞতা দলটির না থাকায় এখন বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে, যে সংকট কাটিয়ে ওঠা দলটির পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা হলপ করে বলা মুস্কিল। কিন্তু বিএনপি-রাজনীতি এদেশে নির্মূল হবে না সেটাও চরম এক সত্য কথা, কারণ এদেশে আওয়ামী-বিরোধী রাজনীতির একটি বিশাল জায়গা রয়ে গেছে। প্রশ্ন হলো, সেই জায়গাটিকেও কি বিএনপি ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছে বা পারবে? এই মুহূর্তে দলটি আগামী নির্বাচন তাদের “সহায়ক সরকার”-এর দাবী নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু এই “সহায়ক সরকার” নামক শব্দদ্বয় নিয়ে প্রথমেই যে প্রশ্নটি মাথায় আসে তাহলো এটা কীসের জন্য সহায়ক? বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য? নাকি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য?
মানুষ কিন্তু ইতোমধ্যেই বলতে শুরু করেছে যে, বিএনপি তাদেরকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য একটি সহায়ক সরকার চাইছে, অর্থাৎ আবারও দলটি আসলে ক্ষমতার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার মৌলিক কোনো পরিবর্তন তাদের চিন্তাভাবনায় এখনও নেই। দেখা যাক এই “সহায়ক সরকার”-কে বিএনপি কতোটা কাজে লাগাতে পারে।
ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার ২০১৭
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি। masuda.bhatti@gmail.com
এইচআর/আরআইপি