দেশজুড়ে

প্রাইভেট পড়ানো ছাত্রীকে বিয়ে, কাবিনে স্বাক্ষর নেই শিক্ষকের

সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান। প্রাইভেট পড়ানো ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন প্রায় দুই বছর আগে।

Advertisement

অথচ বিয়ের পাঁচ লাখ টাকা কাবিননামা করা হলেও সেই কাবিননামায় স্বাক্ষর নেই এই শিক্ষকের। প্রতারক এই গণিতের শিক্ষক যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি গ্রামের আব্দুল ওহাব মোড়লের ছেলে।

এখন বিয়ে নিয়ে করছেন টালবাহানা, ব্উকে তালাক দিতে চাইছেন। আবার কখনও বা বলছেন বিয়েই করেননি। এছাড়া বউয়ের দাবি নিয়ে অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরা পৌরসভায়ও। এসব কথা জাগো নিউজকে জানান সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর মা মিরা আক্তার।

তিনি বলেন, আমার মেয়ে নুসরাত জাহান জুঁইকে (১৯) প্রাইভেট পড়াতেন গণিতের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান। এ সময় সে আমার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা কাবিননামায় উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়।

Advertisement

কিন্তু বিয়ের সময় উপস্থিত উভয় পরিবারের সদস্যদের স্বাক্ষর থাকলেও কৌশলে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেনি শিক্ষক মনিরুজ্জামান। বিয়ের পর চার মাস আমাদের বাড়িতে থাকার পর মনিরুজ্জামানের বিভিন্ন কুকর্মের বিষয়ে আমরা জানতে পারি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। মোবাইলে বা স্বশরীরে যোগাযোগ করলেও কোনো পাত্তা দেয় না।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে সাতক্ষীরা পৌরসভায় অভিযোগ করেন শিক্ষক মনিরুজ্জামান। আমরা মেয়েকে নিয়ে সংসার করার অনুরোধ জানাই। তবে তাতেও সে রাজি হয়নি। পুনরায় আবারও অভিযোগ করেছে। প্রতারণা করছে আমার মেয়ের সঙ্গে। এখন কৌশলে আমার মেয়েকে তালাক দিতে চায়।

এছাড়া বিয়ের দিনই কাবিনামায় স্বাক্ষর না করে প্রতারণা করেছে। কিন্তু সেদিন আমরা বুঝতে পারিনি। বলেছিল, আমি সরকারি চাকরি করি কাবিননামায় স্বাক্ষর করলে আমার চাকরি চলে যাবে।

Advertisement

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি খুব ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব এসব বিষয়ে। এই বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এদিকে পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহম্মেদ চিশতি জাগো নিউজকে বলেন, পৌরসভার অভিযোগগুলো সাধারণত কাউন্সিলররা দেখেন। তবে কেউ কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন প্রতারণা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আকরামুল ইসলাম/এএম/আরআইপি