সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন পাওয়ার বিষয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩০ জুনের আগে যারা অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) গেছেন, ইচ্ছা করলে তারাই ‘এককালীন’ পেনশনের টাকা তুলতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে পিআরএলে থাকাকালীন কোনো বেতন-ভাতা পাবেন না তারা।
Advertisement
অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নীতিমালা সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে তা কার্যকর করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কতিপয় কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন নিয়মে শুধুমাত্র ৩০ জুনের আগে যারা পিআরএলে গেছেন, ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। ৩০ জুনের পর যাদের চাকরি শেষ হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী যথারীতি মোট পেনশনের অর্ধেক টাকা তারা উত্তোলন করতে পারবেন। বাকি অর্ধেক টাকা মাসে মাসে পেনশন আকারে পাবেন, যা ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ‘বাধ্যতামূলক’ কার্যকর হয়েছে। আগে পেনশনের টাকা তোলার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা ছিল না।
উল্লেখ্য, যেদিন থেকে সরকারি কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে, সেদিন থেকে পরবর্তী এক বছর পিআরএল ভোগ করবেন। এই সময়ে তারা বেতন-ভাতাও পাবেন। পিআরএল শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে পূর্ণ অবসর শুরু হবে।
Advertisement
ধরা যাক, একজন সরকারি চাকরিজীবী চলতি বছরের মে মাসে পিআরএলে গেলেন। নিয়ম মোতাবেক ২০১৮ সালের একই দিনে পিআরএল শেষ হবে তার। এই এক বছর বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন তিনি। এরপর থেকে পূর্ণ অবসর শুরু হবে। ওই কর্মকর্তা যদি ইচ্ছা পোষণ করেন, পেনশনের পুরো টাকা একসঙ্গে তুলবেন, তা তিনি পারবেন। তবে এ সুবিধা পেতে হলে শর্ত হিসেবে পিআরএল থাকাকালীন পাওনা বেতন-ভাতা সমপর্ণ করতে হবে তাকে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একজন সরকারি চাকরিজীবী কেবলমাত্র পিআরএলের জন্য বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। বাতিল করা পিআরএলের জন্য কোনো বেতন-ভাতা পাবেন না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ৩০ জুনের আগে চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে- এমন অনেক কর্মকর্তা অর্ধেক পেনশন তোলার বাধ্যবাধকতার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে আপত্তি উপস্থাপন করেন। সম্পূর্ণ পেনশন পাওয়ার জন্য দাবি করেন তারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান নীতিমালায় কিছুটা সংশোধন আনে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এমইউএইচ/জেএইচ/আরআইপি
Advertisement