বাষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দু'মাসে এডিবি বাস্তবায়নের হার ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা গত বছর একই সময় ছিল ৪ শতাংশ।
Advertisement
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
তিনি বলেন, গত অর্থবছর সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সামগ্রিক অগ্রগতির হার মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৯০ শতাংশ ও প্রকল্প সাহায্য ৭৯ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দের পরিমাণ ১৬৪০৮৪.৮৩ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে এডিপি বাস্তবায়নে ভালো করছে। তারপরও প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে সমন্বয় করা হবে। এজন্য সচিবসহ আরও সদস্য নিয়ে কমিটি করে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। যথাযথভাবে ঠিকাদারি কোম্পানিকে তদারকি ও তাদের কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, এবার প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে এবার ৮ লাখ টন চাল কম উৎপাদন হবে। পরিপূর্ণভাবে এডিপি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের চেষ্টা করছি।
বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা সামগ্রিকভাবে ভালো আছে, এমনটা জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন কোথাও মন্দাভাব নেই। এ বছর একটা ভালো বছর। সর্বক্ষেত্রে প্লাস, কোনো বিয়োগ নেই। আমাদের এ সুযোগ নিতে হবে।
এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে কামাল বলেন, সভায় মন্ত্রণালয়গুলো আশ্বস্ত করেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্যে যেতে পারব। মাঝে মাঝে আলোচনা করা হবে, আলোচনা করলে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ত্বরান্বিত হবে।
এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি একটি বিদেশি পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশের এডিপি পাকিস্তানের চেয়ে বেশি এ বিষয়টি উত্থাপন করেন। বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় তিনি পেয়েছিলেন ভঙ্গুর আর বিধ্বস্ত একটি দেশ। এখন আমাদের সুবর্ণ সময় এবং গৌরবের সময়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা অবশ্যই আমরা দেখতে পারব।
Advertisement
এমএ/জেএইচ/আইআই