লাইফস্টাইল

মনটা থাকুক ভালো

অন্যান্য প্রাণির সাথে মানুষের মূল পার্থক্যটাই হলো মনের। মানুষের মন থাকে, যা অন্য কোনো প্রাণির নেই। তাইতো মানুষের এত আবেগ, এত মন খারাপ, এত অভিমান। জীবনের চলার পথ সবটাই মসৃণ হবে এমনটা মনে করা বোকামি। সুখ যেমন আসে, দুঃখও আসে। আসে নানা ঘাত-প্রতিঘাত। সবকিছু সামলেই আমাদের আগামীর পথে হেঁটে যেতে হয়। তবু আমাদের মন খারাপ হয়, কারণ মন থাকলে মন খারাপও থাকবে। আর মন খারাপ হলে মনটাকে ভালো করার দায়িত্বও নিতে হবে আমাদেরই।

Advertisement

গুরুত্ব না দেয়াযে বিষয়টি নিয়ে আপনার মন খারাপ, চেষ্টা করুন সেই বিষয়টিকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে। কারণ যত বেশি ভাববেন ততই মন খারাপ বাড়বে বৈ কমবে না। তাই চেষ্টা করুন অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে। বিশেষ করে এমনকিছু যা ভাবলে আপনার মন ভালো হয়। হতে পারে তা মধুর কোনো ভুল বা কোনো স্মৃতি।

আরও পড়ুন: বেশি ঘুমালে যে ক্ষতিগুলো হয়

বেড়ানোকাজ আর ব্যস্ততায় যে জীবনটা আটকে আছে, চেষ্টা করুন তাকে একটু মুক্তি দিতে। অন্তত একটি বেলার জন্য হলেও বেড়িয়ে আসুন কোথাও থেকে। যতটাই বেড়াবেন, ততটাই অভিজ্ঞতার সঞ্চার হবে, ততটাই অজানাকে জানতে পারবেন। নতুন নতুন অনেক কিছুই দেখবেন, জানবেন। একটা সময় দেখবেন, মন খারাপের কারণটাই আর আপনার মনে পড়ছে না।

Advertisement

লেখানা। কোনো কবিতা বা কোনো গল্প লিখতে হবে না আপনাকে। শুধু একটি খাতা আর কলম টেনে নিয়ে বসে পড়ুন। যা মন চায় লিখুন। নিজের অভিমানের কথা, না পাওয়ার কথা, দুঃখের কথা, যে কথা কাউকে বলা যায় না সেই কথা- সব লিখে ফেলুন। তারপর নিজের লেখা নিজেই পড়ুন। পড়তে পড়তে একসময় দেখবেন আপনার মন খারাপ কমতে শুরু করেছে। তারপর যখন মনে হবে কী সব ছাইপাশ লিখেছি, তখনই কাগজটি ছিড়ে টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দিন। মন ভালো হবেই।

আরও পড়ুন: ভালো ঘুমের জন্য করণীয়

শখের কাজআপনার শখের কাজ কী? শখের একটি ফুলের বাগান আছে? মন খারাপ হলে সেখানেই কাটান নাহয় কিছুটা সময়। ছবি আঁকতে ভালোলাগলে তাই করুন। গান গাইতে মন চাইছে? দরজা বন্ধ করে নিজের মনে গান করুন। কারণ আপনার কণ্ঠ ভালো না হলে ঘরের বাকি সবার তোপের মুখে পড়তে পারেন!

প্রার্থনাআপনি যে ধর্মেই বিশ্বাসী হোন না কেন, প্রার্থনা করুন। প্রার্থনা আমাদের মনকে প্রশান্ত করে। নিজের সমস্ত চাওয়া-পাওয়ার কথা, আকাঙ্ক্ষার স্রষ্টার কাছে বলুন। ধর্মগ্রন্থ পড়ার চেষ্টা করুন নিয়মিত। দেখবেন, নিজেকে অনেকটাই হালকা লাগছে।

Advertisement

এইচএন/জেআইএম