রাজনীতি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ড. ইউনূসকে ব্যবহার করা যেত : দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা ড. ইউনূসকে সরকারিভাবে ব্যবহার করতে পারতাম, সেটা হয়নি।’

Advertisement

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় মানবতার স্বার্থে অসহায় রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে ও তাদের রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এ নেতা।

জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে বাধ্য হয়ে সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঢুকতে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

‘মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ কর’ শীর্ষক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ নামে একটি সংগঠন।

দুদু বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম জিয়া সরকারের কাছে অনেক আগেই অসহায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢোকার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরও আমরা দেখেছি এসব মানুষ পানি-কাদার মধ্যে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদের মাথার উপরে কোনো ছাউনি নেই। নেই খাবার ও ওষুধ।’

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজ দেশের স্বার্থে মিয়ানমার গেছেন। আর আমাদের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গেছেন স্ত্রীকে নিয়ে। এটা প্রমোদ ভ্রমণ কি না সেটা আমি জানি না।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা ড. ইউনূসকে সরকারিভাবে ব্যবহার করতে পারতাম, সেটা হয়নি। সাহায্য সহযোগিতার জন্য বিদেশ থেকে যেসব দূত এসেছেন তাদের নিয়েও এখন অপপ্রচার করা হচ্ছে। তুরুস্কের ফার্স্টলেডির সঙ্গে এয়ারপোর্টে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।’

Advertisement

ক্ষমতাসীন সরকারকে দানবীয় আখ্যা দিয়ে দুদু বলেন, ‘বর্তমানে দেশে মানবাধিকার এবং নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আইন-শৃঙ্খলার ন্যূনতম অবস্থান নেই। গত ৮ বছরে সরকার ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ প্রায় ৫ শতাধিক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গুম, খুন করেছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আ স ম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তামান্না, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

এমএম/এসআর/এমএস