বাংলাদেশে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুয়াকাটার এই ল্যান্ডিং স্টেশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ডাক ও টেলিযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
দ্বিতীয় এই সাবমেরিন কেবলের মেয়াদ ২০ থেকে ২৫ বছর।
কুয়াকাটা সংলগ্ন মাইটভাঙ্গা গ্রামে ১০ একর জমির উপর ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি।
Advertisement
১৯টি দেশের টেলিযোগাযোগ সংস্থার সম্মেলনে গঠিত সাউথ ইস্ট এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমইউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের অধীনে জাপানের এনইসি ও ফ্রান্সের অ্যালকাটেল লুসেন্ট ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ কেবলটি নির্মাণ করে।
সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত হয়ে ইউরোপের ফ্রান্স পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এর সংযোগ লাইন।
এই কেবলে সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ আরও ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাচ্ছে। ট্রান্সমিশন চার্জ কম পড়ায় কম খরচে ইন্টারনেট সেবা পাবেন দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা ও ফরিদপুরের মানুষ।
বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে আসে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
Advertisement
এআর/এনএফ/এমএস