আগেরদিনই নতুন উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ৫০০ উইকেটের ক্লাবে ৬ষ্ঠ সদস্য হিসেবে নাম লেখান। জেমস অ্যান্ডারসন কী জানতো, পরেরদিন তার জন্য কী অপেক্ষা করছে?
Advertisement
মানুষ ভবিতব্য জানলে হয়তো উদযাপনটাও আগে থেকে করে নিতো। জানতো না বলেই শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হয়েছে। তাতেই ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন অ্যান্ডারসন। ২০.১ ওভার বল করে ৪২ রান দিয়ে নিলেন ৭ উইকেট। টেস্টে ব্যাক্তিগত সেরা বোলিং এটা তার।
অ্যান্ডারসনের এই বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখে লর্ডস টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে সাই হোপের সর্বোচ্চ ৬২ রান সত্ত্বেও অ্যান্ডারসন তোপের মুখে মাত্র ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ফলে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১০৭ রান। সেটা অ্যালিস্টার কুকের (১৭) উইকেট হারিয়ে সহজে টপকে যায় ইংল্যান্ড। ৪০ রানে মার্ক স্টোনম্যান এবং ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন টম ওয়েস্টলি।
Advertisement
প্রথম ইনিংসে ১২৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়ে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডকেও খুব বেশিদুর এগুতে দেয়নি ক্যারিবীয়রা। ১৯৪ রানেই অলআউট করে দিয়েছিল স্বাগতিকদের। জবাব দিতে নেমে ক্রেইগ ব্র্যাফেট এবং সাই হোপের দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বপ্ন দেখছিল জেসন হোল্ডারের দল।
কিন্তু দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্র্যাফেট এবং তৃতীয় দিন সাই হোপ ৬২ রান করে আউট হয়ে গেলে সব প্রতিরোধ ভেঙে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ব্র্যাফেট আর হোপ ছাড়া ২৩ রান করেন অধিনায়ক হোল্ডার, ১৪ রান করেন শেন ডওরিখ।
অ্যান্ডারসনের ৭ উইকেট ছাড়াও ২ উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ১ উইকেট নেন টবি রোল্যান্ড জোন্স। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন বেন স্টোকস। তিনি ব্যাট হাতেও করেছিলেন ৬০ রান। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি তিনি। তবুও ম্যাচ সেরা হলেন স্টোকস এবং সিরিজ সেরা হলেন জেমস অ্যান্ডারসন।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement