অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ। ঘরের মাঠে এই সিরিজ শুরুর আগে আলোচনার মূল কেন্দ্রে ছিল, উইকেট কেমন হবে এবং বোলিং কৌশল কী হবে। সাধারণত উপমহাদেশের উইকেট যেমন হয়, স্লো-লো এবং স্পিনিং- তেমন উইকেটই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ কারণে স্পিন নির্ভর বোলিং শক্তি নিয়েই বাংলাদেশে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশও পেস নির্ভরতা কমিয়ে স্পিন নির্ভর বোলিং আক্রমণ সাজিয়ে তোলে।
Advertisement
আপাতত এই সিরিজ নিয়ে চিন্তাও শেষ। সামনে চিন্তা শুধুই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে। যেখানে দুটি টেস্ট, তিন ওয়ানডের সঙ্গে রয়েছে দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচও। অর্থাৎ পুরোপুরি একটা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ।
বাংলাদেশের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন কন্ডিশন দক্ষিণ আফ্রিকায়। এক কথায় পেসারদের স্বর্গরাজ্য। কাগিসো রাবাদা, মরনে মর্কেল, কাইল অ্যাবোট, ক্রিস মরিসদের মত পেসাররা রয়েছে প্রোটিয়া দলে। সঙ্গে কার্যকরি স্পিনার হিসেবে রয়েছেন শুধুমাত্র ইমরান তাহির।
বাংলাদেশ যে তাদের পেস বিভাগকে যে আরও শক্তিশালী করছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল বিসিবির ইনডোর মাঠেই। দেখা গেল টাইগারদের ক্যারিবীয়ান বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের নিবীড় তত্বাবধানে এক মনে বোলিং অনুশীলন করছে বাংলাদেশের পেসাররা।
Advertisement
এক এক করে সবার ভুল শুধরে দিচ্ছেন এই কোচ। দেখছেন মনযোগ দিয়ে বোলিং ডেলিভারি। তার তত্ত্বাবধানেই আজ বেশ কয়েক ঘণ্টা নেটে ঘাম ঝরান মাশরাফি, রুবেল ও রাব্বি। এ তিনজন ছাড়াও ফাস্ট বোলার শাহদাত হোসেন রাজিবও বল করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শো তে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পাঁচ পেসার দলে রাখার কথা বলেন।
এমএএন/এমআর/জেআইএম
Advertisement