রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে দোহাজারি-কক্সবাজার-রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণকাজ শুরু হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার লক্ষ্যে এখানে রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কথা রেখেছেন। আগামী নির্বাচনে এখানকার ৪টি আসনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে দিন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার রামুর বাইপাস ফুটবল চত্বরে আয়োজিত পথসভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের ন্যায্য অর্থ দ্রুত হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ জেলা প্রশাসকের কাছে জমা করা হয়েছে।
Advertisement
পরে রেলমন্ত্রী রামুতে পৌঁছে প্রস্তাবিত দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতাধীন রামু এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি বলেন, রেললাইন নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থিক, সামাজিক গুরুত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এখানকার মানুষ স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে উন্নত যাতায়াতের সুযোগ পাবে। কক্সবাজারে নির্মিত হবে ঝিনুক আদলের ১৫ হাজার বর্গফুটের দৃষ্টিনন্দন বিশাল স্টেশন।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. মুফিজুর রহমান।
রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, রামু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ আহমদ মাস্টার, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম ও উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়া প্রমুখ।
Advertisement
সায়ীদ আলমগীর/এএম/আরআইপি