জাতীয়

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মেডিকেল টিম গঠন করে কক্সবাজার, উখিয়া ও বান্দরবান সীমান্তপথে পালিয়ে আসা অসুস্থ শরণার্থীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ শনিবার দুপুরে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা দিতে ইতোমধ্যে ২৪টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে কক্সবাজার ও উখিয়াতে ২১টি এবং বান্দরবানে তিনটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা সেখানে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির চিকিৎসা প্রদান করছে।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নবজাতক থেকে শুরু করে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে পোলিও টিকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মিজেলস (রুবেলা) টিকা দেয়া হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলছে। স্থানীয় ডিসি, এসপি ও সিভিল সার্জনদের যৌথ সমন্বয়ে এ কার্যক্রম চলছে।

তিনি জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সকল দেশ ইতোমধ্যে পোলিওমুক্ত হয়েছে। সেই হিসাবে মিয়ানমারও পোলিও মুক্ত বলা যায়। কিন্তু সতর্কতাবশত সকল রোহিঙ্গা শিশুকে (নবজাতক থেকে ৫৯ মাস) পোলিও টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। পোলিও টিকার পাশাপাশি নয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুদের মিজেলস (এমআর) টিকা দেয়া হচ্ছে। কারণ মিয়ানমারে টিকা প্রদানের হার খুব সন্তোষজনক নয়। এছাড়া রোহিঙ্গারা নানা কারণে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার আওতার বাইরে থাকে।

Advertisement

পর্যায়ক্রমে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুকে এমআর টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রোগব্যাধিমুক্ত রাখতে ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করা প্রয়োজন। তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়লে তাদের মাধ্যমে আমাদের শিশুরাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কক্সাবাজার, উখিয়া ও বান্দরবানের বিভিন্ন সীমান্তপথে পালিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ শরণার্থী পালিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একটি বিরাট অংশই হলো শিশু। এসব শিশুসহ অন্যান্যদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ। গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

এমইউ/এমএআর/জেআইএম

Advertisement