খেলাধুলা

মোস্তাফিজ ফর্মে ফেরায় খুশি ওয়ালশ

ঢাকা টেস্টে সব মিলিয়ে মাত্র ১৪ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। উইকেটের দেখা মেলেনি। পেস ডিপার্টমেন্টে তার সঙ্গী ছিলেন শফিউল ইসলাম। তিনিও উইকেটের দেখা পাননি। চট্টগ্রাম টেস্টে শফিউলকে বাদ দিয়ে একমাত্র পেসার হিসেবে দলে নেয়া হয় মোস্তাফিজুর রহমানকে।

Advertisement

এই টেস্টে স্পিনাররা যখন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের সামনে পেরে উঠছিলেন না, তখন জ্বলে ওঠেন মোস্তাফিজ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন। শেষ পর্যন্ত দুই ইনিংস মিলিয়ে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৫ উইকেট।

প্রিয় শিষ্যকে এভাবে ফর্মে ফিরতে দেখে যারপরনাই আনন্দিত কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। সামনেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। যেখানে পেসারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তার আগে মোস্তাফিজের ফর্মে ফেরাটা বেশ স্বস্তি দিচ্ছে ওয়ালশকে। আগেরদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওয়ালশ তার সেই সন্তুষ্টির কথা চাপা রাখতে পারেননি।

কোর্টনি ওয়ালশ বলেন, ‘মোস্তাফিজ দারুণ বোলিং করেছে। সে নিজের আক্রমণাত্মক চেহারাটা দেখাতে পেরেছে। একই সঙ্গে খেলাটাও যে তার নিয়ন্ত্রণে সেটা দেখাতে পেরেছে। আমি মনে করি চট্টগ্রাম টেস্টে সে যে উইকেটগুলো পেয়েছে, তা তাকে আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস এনে দেবে।’

Advertisement

মোস্তাফিজের ওয়ার্নারের উইকেট নেয়া সম্পর্কে ওয়ালশ বলেন, ‘একই টেস্টে দুবার ওয়ার্নারের মত ব্যাটসম্যানকে আউট করার অর্থ এই নয় যে, সে অনেক উচ্চতায় উঠে গেছে। কারণ, এমনিতেই সে (ওয়ার্নার) উঁচুমানের খেলোয়াড়। এটাও ঠিক, তারা দুজন আইপিএলে একই দলের হয়ে খেলেন। এ কারণে সন্তুষ্টির জায়গাটা আরও বড়।’

মোস্তাফিজের কোন জিনিসটা দেখে খুশি হয়েছেন ওয়ালশ? তিনি বলেন, ‘তার আক্রমণাত্মক মানসিকতাটা দেখেই আমি খুশি হয়েছি বেশি। তার মুখে হাসি ফিরে আসাটাও ছিল জরুরি। এ বিষয়গুলো ভালো দিক।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে ওয়ালশ বলেন, ‘সেখানকার উইকেট হবে গতিময়, পেসনির্ভর। এটা আমরা সবাই জানি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা এমনই প্রত্যাশা করছি। পেসারদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। হাতে সময়ও খুব কম। মাত্র এক সপ্তাহ। প্রস্তুতি যা নেয়ার এর মধ্যেই নিতে হবে। এ কারণে দ্রুত পেসারদের নিয়ে কাজ শুরু করতে চাই। যাতে সবাই ভালো একটা অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে পারে। এটা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা এবং চ্যালেঞ্জিং সময়।’

দল অনেক অভিজ্ঞ হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেন ওয়ালশ। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক উন্নতি করেছি। যে অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করেছি সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার ভিন্ন কন্ডিশনে দারুণ কাজ দেবে।’

Advertisement

আইএইচএস/জেআইএম