ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং এর চেয়ে অনেক বেশি আলাদা ও আন্তরিক বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়তে হবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম এ কথা জানান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে মোদির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। তখন জানতে চেয়েছিলাম মোদিকে কেমন দেখলেন, জবাবে খালেদা জিয়া বলেছেন, একজন চা বিক্রেতা থেকে মোদি যেভাবে ভারতের মতো একটা গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এতে অবশ্যই তিনি প্রশংসার দাবি রাখেন। বিগত প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আলাদা অনেক কিছু মোদির কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায়। নতুন ২২টি চুক্তি সম্পর্কে হাফিজ উদ্দিন তিনি বলেন, এতে বাংলাদেশের কোন সফলতা নেই। সব সফলতা ভারতের। তাই ভারতের কাছে একটাই আশা তিস্তা নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা আমাদেরকে ফিরিয়ে দিন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাফিজ বলেন, বিএনপির প্রতিটি শীর্ষনেতাদের ঢাকায় ৩০ থেকে ৪০টি বাড়ি। ফলে আন্দােলন হবে কিভাবে? এ গণ্ডি থেকে আমাদের বের হয়ে লড়াকু সৈনিকের পথ বেছে নিতে হবে। এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আরো একবার রাজপথের আন্দােলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শাস্তি দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, কেন শাস্তি দেয়া হলো? স্বাধীন দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধাই কি শাস্তি পাবেন? আর দোষীরা শাস্তি পাবেন না প্রশ্ন রাখেন তিনি।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন; বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন অালাল, বিএনপির নির্বাহী কিমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফর, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সাবেক সংসদ রাশেদা বেগম হীরা প্রমুখ। এমএম/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement