ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আর এ কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে যানযট শুরু হয়। রাতভর থেমে থেমে যান চলাচল করলেও শনিবার সকাল থেকে গাড়ির চাকা বন্ধ হয়ে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত হয়ে পড়ে। মহাসড়কে এখন ৬ লাইনে থেমে থেমে যান চলছে।
Advertisement
পুলিশ সূত্র জানায়, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষের যাত্রা শুরু হওয়ায় মহাসড়কে যান চলাচল কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। এতে শুক্রবার সন্ধ্যার পর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানজট এক পর্যায়ে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের জামুর্কী পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী হয়।
রাত নয়টার পর থেকে থেমে থেমে যান চলাচল করলেও রাত বারটার পর মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে ট্রাক বিকল হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকগুলো সরিয়ে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।
রাতভর ধীর গতিতে যান চলাচল করলেও শনিবার সকাল ছয়টার পর থেকে আটটা পর্যন্ত মহাসড়কে গাড়ির চাকা বন্ধ হয়ে যানবাহন স্থবির হয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বেলা ১১টার পর থেকে পুণরায় ধীর গতিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে বলে মির্জাপুর বাইপাস স্টেশনে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. সেলিম জানিয়েছেন।
Advertisement
যানজটে আটকা যানবাহনের চালকেরা জানান, ঈদের ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার থেকে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে শুক্রবার বিকেল থেকে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় তাদের আনা-নেওয়া করতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপও বেড়ে যায়।
তবে টাঙ্গাইলের দিকে গাড়ির চাকা কিছুটা ঘুরলেও ঢাকার দিকে বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশি দুর্ভোগে পরেছেন নারী ও শিশুরা। প্রচণ্ড গরমের কারণে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে হেঁটে, দাঁড়িয়ে এবং মাটিতে কাপড় বিছিয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ কিছু সময় বৃষ্টি হয়। এতে বাসের ছাদ ও ট্রাকে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
মির্জাপুরের গোড়াইল নয়াপাড়া এলাকায় কথা হয় ট্রাকের হেলপার স্বপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাইপাইল এলাকা থেকে ভোর চারটায় যাত্রা করেন। পথিমধ্যে চন্দ্রা এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের নয়াপাড়া পর্যন্ত আসতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সময় লেগেছে।
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামগামী এসএন পরিবহনের বাসচালক কার্তিক কাজল জানান, রাত আড়াইটা থেকে মির্জাপুরের সীমানাতেই রয়েছেন।
Advertisement
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বদিউজ্জামান জানান, টাঙ্গাইলের দিকে ধীর গতিতে যানবাহন চললেও ঢাকার দিকে থেমে থেমে যান চলছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলছে। এজন্য প্রচুর ধুলার সৃষ্টি হয়েছে। ধুলায় তিনিসহ অধিকাংশ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এরশাদ/এফএ/এমএস/আইআই