বার বার চোখে পড়ছে তিন ও চার নম্বরে চরম ব্যাটিং সংকট বাংলাদেশের। ভাবা হয় সবচেয়ে পরিপাটি টেকনিক আর ধৈর্য-সংযমী মুশফিকই হতে পারেন টেস্টে চার নম্বরে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং অপশন। কিন্তু যেহেতু তিনি অধিনায়ক, ব্যাটসম্যান আবার উইকেটরক্ষকও তাই এতগুলো দায়িত্ব এক সঙ্গে পালন করা কঠিন। অনেকেরই মত, মুশফিক কিপিং ছেড়ে পুরোদস্তুর ব্যাটম্যান হিসেবে খেললে তার নিজের পাশাপাশি দল উপকৃত হত। তাহলে মুশফিক চার নম্বরে ব্যাটিং করতে পারতেন।
Advertisement
দলে তার ভূমিকা কী হওয়া উচিৎ? এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানিয়েছিলেন, ‘এটা তো আসলে আমার ইচ্ছাতে হচ্ছে না। আমি যে শ্রীলঙ্কাতে কিপিং করিনি এটাও আমার ইচ্ছাতে ছিল না। আমার কিপিংয়ে কখনোই আপত্তি ছিল না। আমি বার বার বলেছি এখানে আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবে ৪০-৫০ বছর খেলবো না, হয়তো ৫-৬ বছর খেলবো। আমি চেষ্টা করি আমার দলের জন্য যতটুকু সম্ভব সেরাটা দেওয়ার। সেখানে অধিনায়কত্ব না থাকলেও আমার কোন সমস্যা নেই। আবার ধরেন কিপিং না থাকলেও সমস্যা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি আমি শতভাগ দিতে পারছি কি না। এখন যদি বলে তোমাকে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে শতভাগ দিতে হবে তাতেও আমি রাজি। সেটাতে আমার সমস্যা নেই। আমার কথা হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যেভাবে চায়, আমি সেভাবে সাপোর্টটা দেওয়ার চেষ্টা করি।’
তবে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বস নাজমুল হাসান পাপন শুনালেন অন্য কথা। তিনি জানালেন চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিককে চারে খেলতে বলা হয়েছিল কিন্তু মুশফিক সে কথা শোনেনি!
দুপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতির ব্যাপারে কথা বলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভালো কিছু করার ব্যাপারেও কাজ করার বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
Advertisement
এদিকে এমন অভিযোগের তীর মুশফিকের দিকে থাকলেও তাৎক্ষণিক মুশফিকের কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এমএএন/এমআর/আইআই