হরিয়ানার সিরসায় ধর্ষক রাম রহিমের ডেরা সাচ্চা সওদার সদর দপ্তরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ডেরা থেকে এ পর্যন্ত ১০টি হার্ড ডিস্ক, নগদ টাকা এবং বেশ কিছু কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। কয়েকটি রুম সিল করে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
তথ্য দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সতীশ মেহরা বলেছেন, আশ্রম চত্বরে কোনও কঙ্কাল পুঁতে রাখা হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ফরেনসিক দল। তিনি বলেন এখনও পর্যন্ত অভিযান শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে। পরবর্তী কর্মসূচি আদালত নিয়োজিত কমিশনার ও জেলা দায়রা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ কে এস পওয়ারের সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন মেহরা।
আশ্রম সংলগ্ন অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুরো তল্লাশি অভিযানটি ভিডিও করা হচ্ছে। ডেরার সদর দপ্তরে ১০টি এলাকায় ভাগ হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ৪১ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী, ৪ কলাম সেনা, হরিয়ানার ৪ জেলার পুলিশ, সোয়াট বাহিনী, ডগ স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াড, এবং কিউআরটির গাড়ি।
মাটি খোঁড়ার জন্য আনা হয়েছে জেসিবি মেশিন। লোহার জিনিসপত্র ভাঙতে ১০ কামারকেও আনা হয়েছে। আশ্রমের মূল প্রবেশদ্বার সতনাম চওকে কড়া নিরাপত্তার জারি করা হয়েছে। আশ্রম থেকে কাউকে ঢুকতে বা বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও আশ্রম চত্বরে এখনও কমপক্ষে ৮শ লোক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
Advertisement
ডেরা প্রশাসনের চেয়ারপার্সন বিপাসনা ইনসান আগেই বলেছিলেন, তারা সবরকম সহযোগিতা করবেন। শিষ্যদেরও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। ডেরার সদর দপ্তরে কয়েকদিন আগে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র পায় পুলিশ।
কিন্তু সব অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এছাড়া ডেরার মুখপত্র সচ কঁহুতে বৃহস্পতিবারই স্বীকার করা হয়, আশ্রম চত্বরে কবর দেওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। সেই কবরগুলির উপর পুঁতে দেওয়া হতো গাছ। তবে মুখপত্রে এই ঘটনার সাফাই হিসেবে বলা হয়েছে, রামরহিম তার ভক্তদের কবর দিতে উৎসাহিত করতেন যাতে শেষকৃত্যের পর ফুল, মালা, অস্থি ইত্যাদি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার চিরকালীন প্রথা বন্ধ করে নদীদূষণ রোখা যায়।
তবে যে কয়েকজন শিষ্য আশ্রম ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন, তাদের অভিযোগ, যারাই ধর্মগুরুর বিরোধিতা করতেন তাদেরই খুন করে পুঁতে দিতেন রাম রহিম। আশ্রম সম্পর্কে উঠে আসা এ ধরনের বিভিন্ন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতেই তল্লাশির নির্দেশ দেয় পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট।
টিটিএন/পিআর
Advertisement