জাপানের এক অদ্ভুত সংকটের কথা সম্প্রতি জানলো বিশ্ববাসী। দেশটিতে মধ্যবয়সেও কৌমার্য রয়ে যাওয়া পুরুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে। সেখানে প্রতি চারজনের একজন ত্রিশ বা ত্রিশোর্ধ পুরুষ যৌন অভিজ্ঞতা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এই অভূতপূর্ব ঘটনার কারণ হিসেবে মোটা দাগে বিয়ে এবং সন্তান জন্মহার কমে যাওয়াকে দায়ী করা হলেও, কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে আরো কিছু গভীর সামাজিক সমস্যার কথা। যেমন, যৌথ পরিবার ভেঙে একক ব্যক্তির পরিবার গড়ে ওঠার প্রবণতা বেশ কিছুকাল আগে থেকেই চলছে জাপানে। আগের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিনির্ভর সমাজটিও আর নেই। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক মন্থরতায় সেখানকার পুরুষেরা জীবিকাকে আরো গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ায় অনেক বয়স পর্যন্ত উপার্জন তৎপরতাতেই কাটছে তাদের। বিয়ে করা বা প্রেম করার সময়ও অনেকের হয়ে উঠছে না। এতোদিন বিষয়টি চোখে না পড়লেও সম্প্রতি এই বয়সী যৌন সংস্পর্শহীন পুরুষের সংখ্যা এতো বেশি হয়ে গেছে যে, নড়ে চড়ে বসেছেন অনেকেই। এই মানুষগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে তাদেরকে বিশেষ একটি নামেও ডাকা হচ্ছে- ইয়ারামিসো। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই মানুষগুলোর জন্য নানা কর্মকান্ডের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেরকমই একটি উদ্যোগ নগ্ন নারীদেহ আঁকার ক্লাস। এখানে ইয়ারামিসোরা একসঙ্গে ন্যুড স্টাডি করেন অবসর সময়ে। এই ক্লাসগুলো তাদের এই অনুভূতি দেয় যে, তারা একা নন। জাপানি পর্নোগ্রাফি, নগ্ন ম্যাঙ্গা কমিক এবং নারীর পণ্যায়নের রমরমায় জাপানের এই প্রদীপের নিচের অন্ধকার দেখে বিস্ময়ে কপালে চোখ উঠেছে বিশ্ববাসীর।এসআরজে
Advertisement