দেশজুড়ে

ঢাক-ঢোলের তালে যমুনা পাড়ে লাখো মানুষ

আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ নেচে-গেয়ে ও আনন্দ-উল্লাস করে উপভোগ করেছেন সিরাজগঞ্জের বিনোদনপ্রেমী লাখো মানুষ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা যমুনা নদীর শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টে এ নৗকা বাইচের আয়োজন করেন। ঢাক-ঢোলের তালেতালে গ্রাম বাংলার গান আর বৈঠার ছন্দ মাতিয়ে তুলেছিল যমুনার ঢেউকে।

আর সেই ছন্দে তাল মিলিয়ে নদীর তীরে লাখ লাখ শিশু-কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত নেচে-গেয়ে এ নৌকাবাইচ উপভোগ করেছেন। বাইচ শুরুর আগে বিকেল ৩টা থেকে নদী তীর মানুষের ঢল নামে।

শুধু সিরাজগঞ্জ জেলা নয় ঢাকাসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকেও হাজার হাজার বিনোদনপ্রেমীরা নৌকা বাইচ দেখতে এসেছিল। নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে তীরবর্তী এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নানা-পসরা সাজিয়ে বসেছিল।

Advertisement

প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপে ২১টি নৌকা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ফ্রিজ-টেলিভিশন তুলে দেন জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুর হাসান ও পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ।

নৌকাবাইচ দেখতে আসা বৃদ্ধ করিম মিয়া বলেন, আগে প্রচুর নৌকাবাইচ হতো। কিন্তু ইদানিং তা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই একটু আনন্দ উপভোগ করার জন্য নৌকাবাইচ দেখেতে এসেছি।

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করার জন্য র্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছিল। নদীতে ও নদী তীরে সার্বক্ষণিক সাদা পোশাকের পাশাপাশি র্যাব-পুলিশের টহল ছিল।

অনুষ্ঠানের আয়োজক জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর যমুনা নদীতে কোনো নৌকাবাইচ হয়নি। সিরাজগঞ্জবাসী আনন্দবঞ্চিত ছিল। বন্যা পরবর্তীতে যমুনা পাড়ের মানুষকে নির্মল আনন্দ-বিনোদনের পাশাপাশি দেশীয় ঐতিহ্য রক্ষার জন্য এ নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়েছে।

Advertisement

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এএম/জেআইএম