খেলাধুলা

শুক্রবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন কিশোরী ফুটবলাররা

এক বছর আগে এই সেপ্টেম্বর মাসেই ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব জয় করে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া সেই মেয়েরা দীর্ঘ এক বছর প্রস্তুতি শেষে শুক্রবার থাইল্যান্ড যাচ্ছে আসল পরীক্ষা দিতে। দেশটির চুনবুরিতে ১০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব। যা পরের বছর অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপেরও বাছাই পর্ব। এশিয়ার সেরা ৮ দেশ লড়বে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে। চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও তৃতীয় দলের ভাগ্যে জুটবে বিশ্বকাপের টিকিট।

Advertisement

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। ‘এ’ গ্রুপের চার দল হচ্ছে-থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও লাওস। গ্রুপের দিকে থাকলেই পরিষ্কার কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশের মেয়েদের।

এর আগে কোনো পর্যায়ের ফুটবলেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপের এতটা কাছাকাছি যেতে পারেনি। কৃষ্ণা-সানজিদারা বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন অধ্যায় যোগ করেছেন। থাইল্যান্ডের চুনবুরি থেকে বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে তৃতীয় হয়ে ফিরবে এমন অলিক কল্পনা কেউ করেন না। কোচ থেকে শুরু করে সবারই এক কথা-এক বছরে মেয়েরা যা শিখেছে তা মাঠে প্রয়োগ করে ভালো খেলতে পারলেই হবে।

বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডগামী মেয়েদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, দেশের হয়ে তোমরাই প্রথম ফুটবলের কোনো বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের শেষ ধাপে খেলতে যাচ্ছে। এটা তোমরা অর্জন করেছো। যা আমরা পারিনি। এতবড় টুর্নামেন্ট খেলার সৌভাগ্য আমারও হয়নি। গত এক দেড়বছর অনেক কষ্ট করেছো। আমি সেটা জানি। তোমরা প্রথম ম্যাচ খেলবা গতবারের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে। এটাকে গর্বই মনে করবা। তোমরা যাচ্ছো, এখন আমরা কিছুই না। সব কিছুই তোমাদের হাতে। দেশবাসী তোমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। মাঠে প্রমাণ করবে তোমরা ফুটবল খেলতে পারো।’

Advertisement

কৃষ্ণা-মৌসুমীরাও দেশের ফুটবলের অভিভাবক কাজী মো. সালাউদ্দিনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা সর্বশক্তি দিয়ে লড়েই ভালো ফলাফল করবে। ‘আমরা অনেক কষ্ট করেছি। আপনি দোয়া করবেন। আমরা চেষ্টা করবো থাইল্যান্ড থেকে আপনাকে ভালো রেজাল্ট উপহার দিতে’-বাফুফে সভাপতিকে বলেছেন দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার। সিনিয়র খেলোয়াড় মৌসুমী বাফুফে সভাপতিকে বলেছেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ। বাছাইপর্বের পর আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন চূড়ান্ত পর্বের জন্য আমাদের কতটা প্রস্তুতির দরকার ছিল। আপনি বছরব্যাপী আমাদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছেন। আপনাকে ও দেশবাসীকে ভালো খেলা উপহার দেবো-এ আশা করছি।’

বাংলাদেশ দলগোলরক্ষক : মাহমুদা আক্তার, রোকসানা বেগম, রূপা আক্তার, রক্ষণভাগ : মাসুরা পারভীন, নারগিস খাতুন, শামসুন্নাহার, শিউলি আজিম, নিলুফা ইয়াসমিন নিলা, আনাই মগিনি, নাজমা, মধ্যমাঠ : মিশরাত জাহান মৌসুমী, মারজিয়া, সানজিদা আক্তার, মনিকা চাকমা, ইসরাত জাহান রত্না, তহুরা খাতুন, আখি খাতুন, রাজিয়া খাতুন, মারিয়া মান্ডা (সহ-অধিনায়ক), আক্রমণভাগ : কৃষ্ণা রানী সরকার (অধিনায়ক), আনুচিং মগিনি, সিরাত জাহান স্বপ্না ও সুলতানা।

দলনেতা : আমিরুল ইসলাম বাবু, টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর : পল থমাস স্মলি, ম্যানেজার : জাকির হোসেন চৌধুরী, প্রধান প্রশিক্ষক : গোলাম রব্বানী ছোটন, সহকারী প্রশিক্ষক : মাহবুবুর রহমান লিটু, ডাক্তার : মাহজাবিন রহমান শাওলী, মিডিয়া ম্যানেজার : হাসান মাহমুদ ও অফিসিয়াল সারোয়ার হোসেন বাবু।

গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের ৩ ম্যাচ১১ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ-উত্তর কোরিয়া১৪ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ-জাপান১৭ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া

Advertisement

আরআই/এমআর/জেআইএম