সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের ২৯ শতাংশ মেয়ের ১৩ বছরের মধ্যেই বিয়ে দেওয়া হয়। আর ৬৫ শতাংশের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছর বয়সের মধ্যে। এই বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। আর তাঁর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে সবধরণের সহযোগিতা দিতে চায় কানাডা সরকার। ২০১৩ সালে ১০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়ে কানাডা এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৈদেশিক সাহায্যদাতা দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এই সাহায্যের অনেকটাই বাল্যবিবাহ, নারী ক্ষমতায়ন এবং গোষ্ঠিগত শিক্ষার উন্নয়নকে লক্ষ্য করে। এছাড়াও বিশ্বের যে ২৫টি দেশ কানাডার উন্নয়নমূলক সহায়তা প্রাপ্তির তালিকায় আছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। কানাডা এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাল্যবিবাহের বাস্তবতা এবং প্রেক্ষাপট নিয়ে বেশ কিছু গবেষণাও চালিয়েছে। দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, আইনের প্রয়োগ যথাযথভাবে না থাকা এবং নিম্নবিত্তের জন্য আইনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়াকে বাল্যবিবাহের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। আর বাল্যবিবাহের ফলাফল হিসেবে আসছে স্কুল থেকে ঝরে যাওয়া, মা ও শিশুর মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি, এমকি মৃত্যু এবং পারিবারিক সহিংসতার মতো ঘটনা। এসব উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই কানাডা মনে করছে বাল্যবিবাহ রোধে বাংলাদেশ সরকারের আরো উদ্যোগী হওয়ার অবকাশ রয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের সাথে এ বিষয়টিকে সঙ্গতিপূর্ণ করাও জরুরী বলে মনে করে তারা। গার্ল সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্ত করা ২০২১ সালের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রত্যয় তাই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে কানাডা সরকার। এসআরজে
Advertisement