মিয়ানমারে যে সহিংসতা চলছে তার বিরোধিতা করেছে রাশিয়া এবং মিসর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমারকে দু’দেশের তরফ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
Advertisement
ব্রিকস সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পুতিন বলেন, ‘আমরা যে কোনো সহিংসতার বিরোধী এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মিয়ানমারের সহিংসতার ঘটনায় মস্কোতে মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে চলতি মাসের ৩ তারিখে শত শত মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। অপরদিকে, কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী চলতি মাসের ৪ তারিখে গ্রোজনি শহরে সমাবেশ করেছে।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের ওপর যে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তার বিরোধিতা করে ইন্দোনেশিয়ায় মিয়ানমার দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কয়েকশ মুসলিম নারী।
Advertisement
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের বিরোধিতা করে মালয়েশিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশেও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
গত আগস্টে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইন রাজ্যে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সহিংসতা শুরু হয় সেখানে।
বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তে জাতিসংঘের কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ থেকে বাঁচতে গত দুই সপ্তাহে প্রায় এক লাখ ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যে হারে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করছে তাতে এই সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় নীরব অবস্থানের কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদমর্যাদা এবং ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি।
Advertisement
শান্তিতে নোবেল পাওয়া এই নেত্রীর নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবিতে একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে সু চির নোবেল বাতিল করতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
টিটিএন/আইআই