মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবিতে একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। অনলাইনে এ পিটিশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে শান্তিতে পাওয়া সু চির নোবেল বাতিল করতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
Advertisement
চেঞ্জ ডট ওআরজিতে এই পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের দাবি, ১৯৯১ সালে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি শান্তিতে যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তা নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ‘জব্দ’ করবেন অথবা ‘ফেরত নেবেন’।
জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা চলমান সহিংসতায় নীরব থাকায় পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন সু চি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই পিটিশন; বিশেষ করে টুইটারে। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম নিপীড়নের ঘটনায় সু চির নীরবতার প্রতিবাদে এই পিটিশনে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৭ জন স্বাক্ষর করেছেন।
Advertisement
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপেও অনেকেই শেয়ার করছেন পিটিশনে স্বাক্ষরের লিঙ্ক। পিটিশনে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে সু চির নোবেল জব্ত অথবা ফেরত নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নোবেল পুরস্কারের অর্থ হিসেবে তিনি যে ৬০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা পেয়েছেন তাও ফেরত নেয়ার দাবি উঠেছে।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। ওই দিন রাখাইনে মিয়ানমার পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকি ও একটি সেনাঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ কয়েক ডজন রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটে।
রোহিঙ্গা বিতাড়নের ঘটনায় আন্তর্জাতিক; বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ব নেতাদেরকে ১১ লাখ রোহিঙ্গার সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা গণহত্যার মুখে রয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাস রাখাইনে জাতিগত নিধনের ঝুঁকি ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।
Advertisement
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর