সরকার সতর্কতার সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মিয়ানমার সীমান্তে পুলিশ ও সেনাবহিনীর চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে রাখাইনে অভিযানের নামে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত দেড় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকারের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘সরকারের অবস্থানে অস্পষ্টতা নেই। সরকারের অবস্থান স্পষ্ট, লাউডার ও ক্লিয়ার। আমরা সতর্কতার সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। একদিকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের স্রোত আমাদের দেশে ছুটে আসছে, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অলরেডি এক লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী চলে এসেছে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বক্তব্য রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। জাতিসংঘকে আমরা উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। সন্ত্রাস দমনের নামে নিরীহ রোহিঙ্গাদের প্রতি অত্যাচার-নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য চারবার মিয়ানমারের প্রতিনিধিকে আমাদের ফরেন অফিস ডেকে পাঠিয়েছে। আমাদের জোরালো বক্তব্য আমরা উত্থাপন করেছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই (রোহিঙ্গা) জনস্রোতের বিশাল বোঝা বহন করার ক্ষমতা আমাদের নেই। এখানে আরও অনেক সমস্যা আছে। এত মানুষ আসছে, নির্যাতিত মানুষের সঙ্গে মাদকের স্রোতও আসছে কিনা এবং অস্ত্রের কোনো বিষয় যুক্ত হচ্ছে কিনা- এটা তো আমাদের জন্য আরও বেশি উদ্বেগের।’
‘কাজেই আমাদের সরকারকে সব কিছু মাথায় নিয়ে, একদিকে আমারা পুশইনের প্রতিবাদ করছি। মিয়ানমারের নাগরিকদের যেন জাতিসংঘ অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে সে ব্যাপারে আমাদের দাবি অত্যন্ত জোরালো।’
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমরা যদি অমানবিক হতাম, তবে এই দেড় লাখ তো আসার কথা ছিল না। আমরা পুশইনের প্রতিবাদ করছি। যারা চলে এসেছে আমরা তো তাদের পুশব্যাক করছি না। কিন্তু এই বিশাল বোঝা বয়ে বেড়ানোর ক্ষমতাও আমাদের নেই। আমরা হাওড় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত, বন্যার জন্য অর্ধেক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এজন্য আমরা বারবার জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
Advertisement
আরএমএম/এসআর/আরআইপি