ঘূর্ণিঝড় ইরমার আঘাতে ক্যারিবীয় দ্বীপে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় সকালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ঘণ্টায় ২৯৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ক্যাটাগরি ফাইভ মাত্রার এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়।
Advertisement
বারবুডা এবং এন্টিগুয়া দ্বীপে প্রথম আঘাত হানে ইরমা। তারপর সেইন্ট মার্টিন, সেইন্ট বার্টস, পুয়ের্তো রিকো, হাইতি, ডমিনিকান রিপাবলিক এবং কিউবা হয়ে এখন তা এগিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দিকে। ফরাসীদের কাছে অবকাশ যাপনের সবচেয়ে জনপ্রিয় দ্বীপ সেন্ট মার্টিন ও সেন্ট বার্টস।
ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্যারিবীয় দ্বীপগুলোতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এন্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঝড়ে সেখানে অন্তত একজন নিহত হয়েছে এবং দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, সেন্ট মার্টিন ও সেন্ট বার্টসে ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক। এই দুই দ্বীপে আঘাত হানার আগে ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতি ছিল ঘন্টায় ৩শ কিলোমিটার।
Advertisement
ফরাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঝড়ের কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং দ্বীপের ভবনগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বারবুডার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এন্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ব্রাউনি। বারবুডায় ঝড়ের মধ্যে পড়া একজন জানান, আমার পুরো বাড়ি একটা মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছিল। সেই ঘরে আটকা পড়েছিলাম আমরা সাতজন। আমরা সাহায্যের জন্য আর্তি করছিলাম আর প্রার্থনা করছিলাম। দমকলকর্মীরা আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছিল। আমার জীবনের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।
ফ্লোরিডার পশ্চিমাঞ্চল থেকেও অনেক লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং এই ঝড়ের প্রভাবে সেখানে ব্যাপক ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্যাটাগরি ফাইভ বা সর্বোচ্চ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ইরমা এখন নর্দান ভার্জিন আইল্যান্ডের ওপর দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
Advertisement
গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ঝড় হিসেবে ইরমাকে বিবেচনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নাগাদ এই ঝড়টি পুয়ের্তো রিকো এবং ডমিনিক রিপাবলিক অতিক্রম করবে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।
টিটিএন/আরআইপি