খেলাধুলা

ওয়ার্নারের ব্যাটিং এত মন্থর!

ডেভিড ওয়ার্নার নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক দানবীয় ব্যাটসম্যানের চেহারা। যার ব্যাটিং তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। শুধু ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্টেও বিধ্বংসী ব্যাটিং করে থাকেন তিনি। যতক্ষণ উইকেটে থাকেন, ততক্ষণ রানের ফোয়ারা বইয়ে দিতে পারেন পৃথিবীর যে কোনো উইকেটে, যে কোনো কন্ডিশনে। ক্যারিয়ারের ২০টি সেঞ্চুরির মধ্যে ৪টিই করেছেন ১০০ বলের নিচে। অথ্যাৎ এর চেয়েও কম বল খেলে। ৭০, ৭৮, ৮২ কিংবা ৯৩ বলে সেঞ্চুরি করারও রেকর্ড আছে তার।

Advertisement

অর্থাৎ টেস্টেও যেন তার কোন স্থিরতা নেই। সেই ওয়ার্নারই কিনা চট্টগ্রাম টেস্টে এসে একেবারে চুপসে গেলেন। তার মত মারকুটে ব্যাটসম্যানকেও দেখা গেলো দারুণ ধৈয্য ধরে খেলতে। তাকে দেখা গেলো অন্য চেহারায়। চট্টগ্রামের এই টেস্টেই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরি করেছেন এই অসি হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান।

ঢাকা টেস্টেও তিনি ছিলেন অনেকটা মারমুখি। দ্বিতীয় ইনিংসেই তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেই সেঞ্চুরিটি এসেছিল ১২১ বলে; কিন্তু চট্টগ্রামে এসেই যেন অন্য এক ওয়ার্নারকে দেখলো সবাই। খুব শান্ত-শিষ্ট ধীর-স্থির এক টেস্ট ব্যাটসম্যান। এমনকি ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি পূরণ করতে তিনি বল খেলেছেন ২০৯টি! এত মন্থর গতির ব্যাটসম্যান ওয়ার্নারকে যে এর আগে কখনও দেখা যায়নি!

এর আগে তার সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরিটি ছিল অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে। ২০১৪ সালের সেই টেস্টের সেঞ্চুরিটি করতে এই অসি ওপেনার খরচ করেন ১৫৪টি বল। এর আগে ধীরগতির সেঞ্চুরি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৪৫ বল লেগেছিল সেই সেঞ্চুরিটি করতে। আর ২০১৫ সালে ব্রিসবনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪১ বলে করেছিল একটি সেঞ্চুরি।

Advertisement

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে তা ওয়ার্নারের ব্যাটিং দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের।

৬৬ ম্যাচে ১২২ ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যানের ৭৮ দশমিক ১২ স্ট্রাইক রেটে মোট রান ৫৬৯৭। টেস্ট ক্যারিয়ারে রয়েছে ২০টি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফ সেঞ্চুরি।

আইপিএলে ওয়ার্নারের ব্যাটিং টেস্টের ঠিক উল্টো। গত ৯ সিজন খেলে ১৪২ দশমিক ১৩ স্ট্রাইক রেটে মোট রান করেছেন ৪০১৫। ৩টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরি।

এমএএন/আইএইচএস/এমএস

Advertisement