পবিত্র ঈদুল আযহায় মুক্তি পেয়েছে শাকিব-বুবলীর ছবি ‘রংবাজ’। মুক্তির দু-দিনের মধ্যেই ছবিটি পাইরেসি হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার অধিকাংশ কম্পিউটার দোকানে এবং তরুণদের স্মার্টফোনে পাওয়া যাচ্ছে পাইরেসি হওয়া পুরো ‘রংবাজ’ ছবিটি।
Advertisement
জাগো নিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছেন ২০১৫ সালের এনটিভির ‘হাসো’ নামের একটি কমেডি রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করা প্রতিযোগী ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, ‘গেল সোমবার থেকেই আমাদের এলাকায় (নওগাঁ জেলা) অনেকের মুঠোফোনে, কম্পিউটারের দোকানে ‘রংবাজ’ ছবি পাওয়া যাচ্ছে। কে বা কারা এটি করেছে তা আমার জানা নেই।’
তবে ছবি পাইরেসি হওয়ার বিষয়টি জানেন না বলে জাগো নিউজকে জানান চিত্রনায়িকা বুবলী। তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি ‘রংবাজ’ পাইরেসি হয়নি, আর পাইরেসি হওয়ার তো কথা না।’ বুবলী বলেন, ‘কেউ ফোনে দেখছে কিনা সেটা বলতে পারি না। তবে হলে আর কি করা? রংবাজের শুরু থেকে তো ছবিটি নিয়ে রংবাজি করা হচ্ছে। যদি সত্যি পাইরেসি হয় তারপরেও বলব যারা হলে গিয়ে ছবি দেখার তারা দেখবেই।’
‘রংবাজ’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে রূপরঙ ফিল্ম লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মোকাম্মেল সরকার গেল ৪ তারিখ (সোমবার) জেনেছেন ‘রংবাজ’ পাওয়া যাচ্ছে ‘বিডি মিউজিক টোয়েন্টি থ্রি’ নামের একটি ওয়েবসাইটে। জেনেই তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি প্রমাণ পেয়েছি ‘রংবাজ’ পাইরেসি হয়েছে। এরপর লাইভ টেকনোলজিসের সহায়তায় বিডি মিউজিক টোয়েন্টি থ্রি থেকে ছবিটি নামানোর ব্যবস্থা করেছি। এখন সেখানে ছবির পোস্টার দেখা গেলেও ছবিটি পাওয়া যাচ্ছে না। ইউটিউবে কোথাও ছবিটির পাইরেটেড কপি নেই।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমি বলবো যে বা যারা ‘রংবাজ’ পাইরেসি করেছে মোটেও ঠিক করেনি। মুক্তির দুদিনের মধ্যেই ছবি পাইরেসি করা মানে একজন প্রযোজকের মাথায় কুড়াল মারা! এভাবে চলচ্চিত্র বাঁচবে কেমন করে।’
ঈদ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশের ১৬১টি সিনেমাহলে ‘রংবাজ’ মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি বর্তমানে দারুণ ব্যবসা করছে বলে জানান মোকাম্মেল সরকার। ‘রংবাজ’ বাংলাদেশের রূপরঙ ফিল্ম লিমিটেডের পাশাপাশি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস।
প্রথমে ছবিটি পরিচালনা শুরু করেন শামীম আহমেদ রনি। পরে তিনি চিত্রপরিচালক সমিতি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় ছবির নির্মাণ কাজ শেষ করেন আবদুল মান্নান।
এনই/এলএ
Advertisement