ভোর থেকেই চট্টগ্রামের আকাশ পরিষ্কার থাকলেও সকাল সাড়ে আটটার পর থেকে আকাশের রূপ বদলে গেছে। এখন চট্টগ্রামের আকাশ মেঘে ঢাকা। আর সকাল ৯.৩৫ মিনিটে বৃষ্টি নেমেছে স্টেডিয়াম ও তার আশে পাশে। মাঠ কর্মীরা আগে থেকে তৈরি ছিলেন, এখন তারা ব্যস্ত উইকেট ও আউটফিল্ড কাভারে ধাকতে।
Advertisement
সকাল পৌনে নয়টায় মাঠে আসা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা বৃষ্টি শুরুর আগ মুহূর্তেও অনুশীলন করছিলেন। তবে বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চলে গেছেন ড্রেসিং রুমে।
এদিকে প্রথম ১৫/২০ মিনিট টিপ টিপ বৃষ্টি পড়লেও ঘড়ির কাঁটা দশটা ছোঁয়ার আগেই শুরু হয় মুশুল ধারে বর্ষণ। তাই আপাতত তৃতীয় দিনের খেলা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তবে ড্রেনেজ সিস্টেম এ মুহূর্তে দেশসেরা বিধায় মাঠের অর্ধেকেরও বেশি অংশ খোলা। শুধু উইকেট, ৩০ গজ এবং বোলিং মার্কের জায়গাটুকু কাভারে ঢাকা। এক কথায় মাঠের ৭০ শতাংশ জায়গা খোলা।
তবে আগের মত এখনো চরম আত্মবিশ্বাসী কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। তার একটাই কথা, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ সিস্টেম খুব ভালো। তাই আউট ফিল্ড পুরো ঢেকে রাখার দরকার নেই। ভারী বর্ষণের পরও ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে মাঠ খেলা উপযোগী করে তোলা সম্ভব। তাই যত ভারী বর্ষণই হক না কেন, বৃষ্টি থামার ঘণ্টা খানিকের মধ্যেই খেলা শুরু করা সম্ভব।
Advertisement
উল্লেখ্য, এ টেস্টের শুরু থেকেই বৃষ্টির হুমকি ধামকি ছিল। টেস্ট শুরুর আগের দিন প্রায় বেলা ১২টা অবধি টিপ টিপ বৃষ্টি পড়েছে। বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার কোন দল টেস্টের আগেরদিন খোলা আকাশের নিচে অনুশীলন করতে পারেনি। টেস্টে মাঠে নামার আগে শেষ প্র্যাকটিস সেশন কেটেছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ইনডোরে। তবে প্রথম দুই দিন কোন বৃষ্টি হয়নি। এক কথায় চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দুইদিন ভালোই কেটেছে।
এআরবি/এমআর/আইআই