ঢাকা টেস্টের আগেও বৃষ্টির শঙ্কায় বুক কেপেছে অগণিত ক্রিকেটপ্রেমীদের। অনেক চড়াই উৎরাই পাড়িয়ে দিয়ে ১১ বছর পর অস্টেলিয়া এসেছে, দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে। তার প্রথমটি কী বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যাবে? এ বছর এমনিতেই রেকর্ড গড়া বৃষ্টি কী টাইগার ও অসিদের প্রথম টেস্টে চরম বাধা হয়ে দাঁড়াবে?
Advertisement
এমন সংশয়-শঙ্কা কিন্তু ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। টেস্ট নির্বিঘ্নেই শেষ হয়ে যায়। টাইগারদের সাফল্যে ঢাকা টেস্টে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যে ভুল প্রমাণ হয়েছিল, তা নিয়ে মাথা ঘামাননি কেউ। দেশি-বিদেশি কিংবা আন্তর্জাতিক যাই বলা হোক না কেন, বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টের প্রথম চারদিন শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। প্রথমদিন এক পশলা আর তৃতীয় দিন চা বিরতির সময় অল্প কিছুক্ষণ ইলশে গুড়ি বৃষ্টি পড়লেও খেলা বিঘ্নিত হয়নি একটুও। একট বলও বৃষ্টিতে কাটা পড়েনি। তামিম, সাকিব, মুশফিক, মিরাজ ও তাইজুলদের উদ্ভাসিত নৈপুণ্যে আলোচ্ছটায় আবহাওয়া প্রতিবেদন নিয়ে আর একটি কথাও হয়নি।
একই অবস্থা চট্টগ্রামেও। ঈদের ছুটির আমেজ থাকতে থাকতেই মাঠে গড়ালো চট্টগ্রাম টেস্ট। এ ম্যাচ শুরুর আগেও সেই বৃষ্টির আনাগোনা। টেস্ট শুরুর আগের দিন প্রায় বেলা ১২টা অবধি টিপ টিপ বৃষ্টি পড়েছে। বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার কোন দল টেস্টের আগেরদিন খোলা আকাশের নিচে অনুশীলন করতে পারেনি। টেস্টে মাঠে নামার আগে শেষ প্র্যাকটিস সেশন কেটেছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ইনডোরে। এখানেও আবহাওয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বৃষ্টি চরম ভাবে ভোগাবে।
একটা দুশ্চিন্তায় শুরু হয়েছে এ ম্যাচ। কিন্তু আশার খবর, ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি হয়নি। এক কথায় চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দুইদিন ভালোই কেটেছে। বৃষ্টির ‘ব’ ও নেই। মেঘমুক্ত নীল আকাশেই হয়েছে খেলা। কিন্তু তৃতীয় দিন শুরুর আগে আবার বৃষ্টির আনাগোনার খবর শোনা যাচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী তিনদিন চট্টগ্রামে বৃষ্টি হতে পারে।
Advertisement
তবে ক্রিকেট অনুরাগিরা চিন্তা করেন না। এখনকার খবর বেশ ভালো। আজ বুধবার সকালে এ প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত বন্দর নগরীর আকাশ খুবই ভালো। মেঘের চিহ্ন নেই। নীল আকাশ। কাক ডাকা ভোরে পূব আকাশে ঠিক সূর্য উঠেছে। সব মিলে পরিষ্কার আবহাওয়া। তবে গরমের প্রচণ্ডতা খুব বেশি। দেখা যাক সারাদিন এমন মেঘমুক্ত আকাশ থাকে কি না?
এআরবি/এমআর/আইআই